করোনায় আক্রান্ত বিএসএফ সীমান্ত নিরাপত্তা ভেঙে ফেলতে ছক চোরাকারবারিদের : কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ ত্রিপুরায় করোনা-থাবায় বিএসএফ-এর জওয়ান সহ তাঁদের পরিবারের দেড় শতাধিক সদস্য আক্রান্ত৷ এরই সুযোগে চোরাকারবারিরা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার ছক এঁকেছে৷ এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দে৷ তাঁর কটাক্ষ, রোগের উৎস নিয়ে ত্রিপুরা সরকার এবং বিএসএফ-এর সন্দেহজনক মৌনতা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে সাহায্য করছে৷ কারণ, মানুষ এখন প্রত্যেক বিএসএফ জওয়ানকে সন্দেহের চোখে দেখছেন৷ তাতে সীমান্ত নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷


তাপস বলেন, করোনা অতিমারির প্রকোপে বিএসএফ জওয়ানরা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এখমতাবস্থায় সারা ত্রিপুরাবাসীকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ কারণ, জন নিরাপত্তায় তাঁরাই আমাদের রক্ষাকবচ হিসেবে সীমান্ত প্রহরায় থাকেন৷ কিন্তু পরিস্থিতির নিষ্ঠুর পরিহাস, তাঁদেরকেই মানুষ এখন সন্দেহের চোখে দেখছেন৷ তাঁর দাবি, প্রত্যেক বিএসএফ জওয়ানকে করোনা আক্রান্ত বলে মানুষ সন্দেহ করছেন৷ অবশ্য এই সন্দেহ অমূলক নয়ঊ কারণ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা করেন৷ অথচ তাঁরা করোনা-আক্রান্ত নন, এমন কোনও স্পষ্ট বার্তা ত্রিপুরা সরকার কিংবা বিএসএফ-এর তরফে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাঁর সাফ কথা, জনসচেতনতার অভাবে বিএসএফ জওয়ানরা করোনা আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন৷ তাতে চোরাকারবারিদের উপকার হচ্ছে, দাবি করেন তিনি৷


তাপস দে-র কথায়, চোরাকারবারিরা এই সুযোগে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে মানুষের মনে সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ তাতে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার কোনও অবকাশ নেইঊ তাঁর সাফ কথা, বিএসএফ-এর প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে গেলে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে৷ ত্রিপুরা সরকার এবং বিএসএফকে শীঘ্রই এর প্রতিকারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে৷