নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ করোনা ভাইরাসের মূর্তি বানিয়ে জনসচেতনতা এবং মানুষকে সতর্ক করার পন্থা নিলেন মৃৎশল্পী দম্পতি৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বনকুমারী ক্ষুদিরামপল্লির বাসিন্দা উষাশেখর চৌধুরীর কথায়, করোনা অতিমারি সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছেঊ তাই, এই ভাইরাসের বিধবংসী রূপ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি৷ এজন্য রাক্ষস-রূপী করোনা-র মূর্তি বানিয়েছি৷ তিনি বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করার এই উপায় বের করেছি৷ তাঁদের আশা, মানুষ করোনা মোকাবিলায় সমস্ত নিয়ম মানবেন এবং করোনা-র হাত থেকে সমগ্র জাতি ও দেশকে রক্ষা করবেন৷
করোনা মোকাবিলায় নানাজন বিভিন্ন উপায় বের করার চেষ্টা করছেন৷ সেই কঠিন লড়াইয়ে মৃৎশিল্পী দম্পতিও অংশীদার হতে চেয়েছেন৷ উষাশেখর চৌধুরী বলেন, এখন লকডাউন চলছে৷ তাই কাজকর্ম বিশেষ নেইঊ ফলে, অবসর সময়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা-র বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করার উপায় বের করেছি৷ তিনি বলেন, করোনা-র ভয়াবহতাকে মূর্তি-তে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি৷ তাই, রাক্ষস-রূপী এক করোনা-র মূর্তি বানিয়েছি আমরা৷ তাঁর বিশ্বাস, করোনা আমাদের জীবনে কতটা ভয়ংকর হতে পারে মূর্তির বিধবংসী রূপ সেটাই বোঝাতে চাইছে৷ তবে সমস্ত অন্ধকার এবং আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করে জিততেই হবে, সেই অঙ্গীকার মানুষ গ্রহণ করুন, আমরা তা চাইছি৷
তাঁর স্ত্রী মঞ্জু চৌধুরী বলেন, করোনা-র প্রকোপে আমরা এখন ঘরবন্দি৷ তাই, মানুষকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতেই হবে৷ তাঁর দাবি, করোনা-র মূর্তি এই ভাইরাসের প্রকোপের পরিণাম সম্পর্কে মানুষের চোখ খুলে দেবে৷ তাই আমরা ওই মূর্তি বানিয়েছি৷
প্রসঙ্গত, করোনা-র প্রকোপ নিয়ে ইতিমধ্যে শিল্পীমহল নিজ নিজ ভাবনাষ মানুষের চেতনাকে নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ ভাইরাস সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির নানা উপায় বের করা হচ্ছে৷ কারণ, মানুষ যত এই ভাইরাস সম্পর্কে অবগত হবেন ততই নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে চেষ্টা করবেন৷ কারণ এই ভাইরাস বাতাসে ছড়ায় না৷ মানুষের সংস্পর্শেই বিস্তার লাভ করে সংক্রমণ৷ তাই, করোনা মোকাবিলায় সমস্ত সরকারি নিয়ম পালনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই মূর্তি বানানো হয়েছে, দাবি করেন মৃৎশিল্পী দম্পতি৷