BRAKING NEWS

লক ডাউন বাড়বে, কিন্তু কি ধরনের হবে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মে৷৷ লকডাউন বাড়বে, কিন্তু তা কি রূপে বাড়বে এ বিষয়ে আগামী ১৫ মে’র মধ্যে সবকটি রাজ্য থেকে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রায় সবকটি রাজ্য লকডাউন বৃদ্ধি করার পক্ষে দাবি করেছেন৷ রেড জোন জেলাস্তরে না করে কনটেনমেন্ট জোনে করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ জেলার বাকি জায়গায় সাধারণ গতিবিধি শুরু করার জন্য বলা হয়েছে৷ রেগুলার ট্রেন এর পরিবর্তে কম দাঁড়ানোর ট্রেনগুলো চলাচল করবে৷ অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাকে নিচের স্তর পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুতি করার কথা বলা হয়েছে৷


বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশ গুলিতে পর্যটন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ এই অবস্থায় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে ভারত৷ করোনা মুক্ত রাজ্যগুলিতে পর্যটকরা আসতে পারে৷ রাজ্য সরকার সেই অনুযায়ী যেন প্রস্তুতি নেয়৷ ভারতে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই পর্যটকদের আকর্ষিত করার উপর জোর দিতে হবে৷
পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ছাড়ার ফলে একদিকে তারা যেসব রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছেন ঐ সমস্ত রাজ্যে যেমন শ্রমিক সংকট দেখা দেবে, তেমনি যেসব রাজ্যে যাচ্ছেন সেখানেও তৈরি হবে সমস্যা৷ কিন্তু মানুষ যেহেতু নিজেদের ঘরে যাওয়ার জন্য প্রত্যয়ী হয়ে উঠেছে সে জায়গায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের ঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ সবারই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে এবং কেউ সংক্রমিত থাকলে তাদের চিকিৎসা করা হবে৷ আমি জানি এর ফলে হয়তো করোনার সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আসতে পারে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশকে করোনা মুক্ত বানানোর জন্য সাহায্য পাওয়া যাবে৷


শ্রমিকদের ভবিষ্যত নিয়ে রাজ্য যেন নীতি নির্দেশিকা তৈরি করে৷ এতে কেন্দ্রীয় সরকারও প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে৷ আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি করার জন্য সব কটি রাজ্যের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন৷ শিল্প ও শ্রম আইন সরল করা দরকার৷ সবকটি রাজ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা, সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে রাজ্যগুলি যেন নীতি তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে পাঠায়৷ বিদেশ থেকে বড় শিল্পপতিদের বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা৷রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে৷


বিপ্লব কুমার দেব তার কথা বলার সময় উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতি লুক ইস্ট নীতি এক্ট ইষ্ট নীতিতে বদলেছে এবং তারপর তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দেশের অষ্টলক্ষী বানানোর লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ শুরু করেন এবং সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন৷ কিন্তু আমি দুঃখিত যে আবারো ছোট এবং বড় এই ভেদাভেদ দাঁড় করানো হচ্ছে৷ বিপ্লব কুমার দেব অমিত শাহের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নর্থইস্ট কাউন্সিলের বৈঠকে বলেছিলেন যে নর্থইস্ট এর কাছে দেশের অর্থব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ সেখানে তিনি এটাও বলেছিলেন যে আয়তনে উত্তরপ্রদেশের সমান হলেও এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৪ কোটি যেখানে উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যা ২২ কোটি৷ তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাছে নিজের ভৌগোলিক ক্ষেত্রের লাভ উঠানোর সুযোগ রয়েছে৷ বিপ্লব দেব আরো বলেন ত্রিপুরার লজিস্টিক হাব, আইসিপি, চট্টগ্রাম বন্দর নৈকট্য ও বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার লাভ হয়েছে৷ এর ফলে রাজ্যের আর্থিক উন্নতির কারনে ত্রিপুরার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লাভ হবে৷ বিপ্লব কুমার দেব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিশ্বাস প্রদান করেছেন যে আগামী দুই বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের অর্থব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দেবে৷


ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বরোয়িং ক্যাপাসিটিকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি রাখেন৷ এই দাবি অন্য কিছু রাজ্যেরও ছিল৷ জিএসটির রাশি জারি করার ও রেগার শ্রমদিবস ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করার দাবি অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্য কেন্দ্র৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *