মুম্বাই থেকে বিশেষ বাসে বন্ধুদের নিয়ে সস্ত্ৰীক অসমে ফিরছেন সংগীত শিল্পী জুবিন গাৰ্গ

গুয়াহাটি, ৯ মে (হি.স.) : মহামারি করোনার প্ৰকোপে সারা দেশে গত ২৪ মাৰ্চ থেকে লকডাউন চলছে। ফলে মুম্বাইয়ে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন অসমের যুব সমাজের হাৰ্টথ্ৰব সংগীত শিল্পী জুবিন গাৰ্গ এবং তাঁর স্ত্ৰী গরিমা গাৰ্গ। আটকে ছিলেন এ রাজ্যের বহু ক্যানসার রোগীও। শুক্ৰবার সংগীত শিল্পী জুবিন স্ত্ৰী, সঙ্গে আরও চার বন্ধুকে নিয়ে স্লিপার বাসে করে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আরও ছয়টি স্লিপার বাস ১৩২ জন ক্যানসার রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে মুম্বাই থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে যাত্ৰা শুরু করেছে। বাসগুলি ১২ থেকে ১৩ মে-র মধ্যে অসমে এসে পৌঁছবে।

১২ মে মঙ্গলবার সংগীত শল্পী জুবিন গাৰ্গদের বাসও রাজ্যে এসে পৌঁছবে। রাজ্যে পৌঁছনোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্ৰকের নিয়ম অনুসারে জুবিন, তাঁর স্ত্ৰী গরিমা গাৰ্গ এবং তাঁর সতীৰ্থদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। মুম্বাইয়ে অসম ভবনের আধিকারিক দেবাশিস শৰ্মার তত্ত্বাবধানে বাসগুলি ছাড়া হয়েছে।

প্ৰতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে বাসগুলি। বাসগুলির ভেতরে খাওয়া, স্নান করার মতো সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রোগীদের জন্য প্ৰয়োজনীয় ওষুধপত্ৰ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রয়েছে বাসগুলিতে। রোগীদের পরিজন ছাড়াও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. নিলাক্ষী চৌধুরীও বাসে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। মুম্বাই থেকে অসমে আসতে তাঁদের সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে, জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গুয়াহাটির টাউন ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে হঠাৎ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন জুবিন। তার পর একমাস গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ডাক্তারদের পরামৰ্শে বিশ্ৰাম এবং সংগীত জগতের আরও অন্যান্য কাজ নিয়ে তিনি মুম্বাই চলে যান। এর পরই দেশে হামলা করে মহামারি করোনা ভাইরাস। করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে গত ২৪ মাৰ্চ থেকে গোটা দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। এই পরিস্থিতিতে মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটে আটকে ছিলেন জুবিন এবং স্ত্ৰী, সেই সঙ্গে তাঁর বন্ধুরাও।

গোটা দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্ৰান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্ৰের লোকজন। অসমের যুব সমাজের হাৰ্টথ্ৰব জুবিন দীৰ্ঘ দিন পর নিজের রাজ্যে ফিরে আসছেন, তাই খুশি জুবিনের ফ্যানরা।