BRAKING NEWS

গণ্ডারের পর এক বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে

কাজিরঙা (অসম), ১০ মে (হি.স.) : শনিবার বিকেলের দিকে একটি গণ্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। আজ রবিবার বিকেলে উদ্ধার হয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীর মৃতদেহ। ঘটনা কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের। লকডাউনের আবর্তে বন্যজন্তু হত্যা ও তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের বন দফতরকে ভাবনায় ফেলেছে। উদ্বিগ্ন খোদ বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও। তবে বাঘিনীর মৃত্যুর পিছনে কোনও চোরাশিকারি নয়, তাদের পরস্পরের লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন বন্যজন্তু বিশেষজ্ঞরা।

কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বাগরি বনাঞ্চলে রবিবার একটি বাঘিনীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বাগরির ভালুকাজান বিলপারে এদিন উদ্ধার হয়েছে বাঘিনীটির মৃতদেহ। অন্য আরেকটি বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘিনীটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ বিকেলের দিকে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের অধিকর্তা পি শিবকুমাররের নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ বন আধিকারিক এবং জাতীয় ব্যঘ্ৰ কর্তৃপক্ষের এক প্ৰতিনিধি দলের উপস্থিতিতে নিয়মমাফিক বাঘিনীটির ময়না তদন্ত করা হয়েছে।

কাজিরঙার পানবাড়ির বন্যপ্ৰাণী পুনঃসংস্থাপন এবং সংরক্ষণ কেন্দ্ৰের পশু চিকিৎসক ডা. পাণজিত বসুমতারি মৃত বাঘিনীটির ময়না তদন্ত করেছেন। দিন সাতেক আগেই বাঘিনীটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডা. পাণজিত জানান, মৃত বাঘিনীটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর বনাঞ্চলের যেখানে বাঘিনীটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেই বনকৰ্মীরা তা দাহ করেছেন। উল্লেখ্য চলতি বছরে এ নিয়ে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে তিনটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, প্রায় এক বছর পর এবং লকডাউনের সুয়োগকে কাজে লাগিয়ে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার বধ করেছে চোরাশিকারিরা। উদ্যানের অগরাতলি বনাঞ্চলের ডোরামারি বিলের কাছে গতকাল শনিবার বিকেলে উদ্ধার হয়েছে খড়্গবিহীন গণ্ডার মৃতদেহ৷ সন্দেহ করা হচ্ছে, দু-তিনদিন আগে চোরাশিকারিরা গণ্ডারটি মেরে খড়্গ কেটে নিয়ে গেছে। বিলের পাড়ে মৃত গণ্ডারের পাশে আট রাউন্ড একে ৪৭ রাইফেলের সক্ৰিয় গুলি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী বন আধিকারিকরা৷

প্রসঙ্গত চলতি বছরে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে এটিই প্রথম গণ্ডার বধ হয়েছে বলে জানা গেছে৷ এর আগে গত বছর ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল গণ্ডার হত্যার ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল এই উদ্যানে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *