নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ কাজের সন্ধানে ত্রিপুরায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন ১০ জন বাংলাদেশী নাগরিক৷ গতকাল রাতে ফের অবৈধভাবে দেশে ফিরে যাওয়ার সময় তারা ধরা পড়েছেন৷ তারা স্বীকার করেছেন, পাসপোর্ট ছাড়া ভারত-বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্তে ব্রিজের নিচে দিয়ে লুকিয়ে ৭ মাস আগে ত্রিপুরায় এসেছিলেন৷ কিন্ত, এখন লকডাউন-এ কাজের অভাবে তারা সমস্যায় পড়েছেন৷ তাই অবৈধ পথে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিলেন৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় রাজনগর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনগন ওই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন৷
ধৃত ১০ বাংলাদেশী নাগরিক রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা৷ ত্রিপুরা থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সময় মাসুদ রানা(১৯), মহ: আব্দুল আলিম(২৭), মহ: নুরুল ইসলাম(৩৫), মহ: জামিরুল ইসলাম(২৭), মহ: মাসুদ রানা(৩৬), মহ: জববার আলী(৩২), মহ: নবীর(২২), মহ: নুর জামাল(২০), মফিজ এসকে(৪৩) এবং মহ: আমিনুল এসকে(১৯) ধরা পড়েছেন৷ পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ তাদের শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে সোপর্দ করেছে৷
এ-বিষয়ে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশী নাগরিক মহ: আব্দুল আলিম বলেন, অবৈধ ভাবেই তারা সকলে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে৷ জন প্রতি ২০০০ টাকার বিনিময়ে সীমান্তে ব্রিজের নিচে দিয়ে ত্রিপুরায় এসেছি ৷ তিনি বলেন, ৭ মাস হয়েছে ত্রিপুরায় বসবাস করছি৷ নির্মান শ্রমিকের কাজে আমরা সবাই নিযুক্ত রয়েছি৷ তাঁর দাবি, আমরা কেউ বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেয়নি৷ সকলেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি বলে পরিচয় দিয়েছি ৷ মহ: আব্দুল আলিম বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে৷ ফলে, টাকার অভাবে না খেয়ে মরার উপক্রম দেখা দিয়েছে ৷ তাই, বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম৷ যে পথে এসেছি, সেভাবেই ফিরে যাচ্ছিলাম ৷ ত্রিপুরায় অবৈধ প্রবেশেকে সহায়তা করেছে, তার পরিচয় দিতে পারেনি তারা ৷
কিন্ত, ১০ বাংলাদেশী নাগরিক-র অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপারের ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবারও প্রশ্ণ তুলে দিয়েছে৷ এমনিতেই অবৈধ অনুপ্রবেশ ত্রিপুরায় অন্যতম প্রধান সমস্যা৷ এক্ষেত্রে বিএসএফ-র ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধে নয় বলেই মনে করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, রাজধানী আগরতলায় সন্নিকটে সীমান্ত এলাকায় অবৈধ প্রবেশ সম্ভব হলে, সারা ত্রিপুরার কি অবস্থা আজ আদালতে উপস্থিত জনগন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷