বাবা ও মা’র রিপোর্ট নেগেটিভ, রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত আড়াই বছরের শিশু বিএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মে৷৷ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আড়াই বছরের শিশুকে বিএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, শিশুটির বাবা ও মা-র কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ বাবা ও মা-কে ছেড়ে ছোট্ট শিশুটির সম্পূর্ণ আলাদাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে৷ কারণ, তার বিশেষ যত্নের প্রয়োজন৷ তাই জিবি হাসপাতালে অন্যান্য করোনা আক্রান্তের সাথে তাকে রাখা হয়নি৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই খবর দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস কে রাকেশ৷ বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ওই শিশুর বাবা ও মায়ের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাই তাঁদের পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷


গতকাল ত্রিপুরায় বিএসএফ পরিবারের ২২ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তাঁদের মধ্যে ৩ শিশু ও এক জন মহিলা রয়েছেন৷ করোনা আক্রান্ত ওই ৩ শিশুর মধ্যে একজনের বয়স আড়াই বছর৷ আজ অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, গতকালের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আড়াই বছরের শিশু রয়েছে৷ কিন্তু, বাবা ও মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাঁর বক্তব্য, সন্তান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, অথচ অভিভাবক সংক্রমিত হননি, তা কীভাবে সম্ভব এখনও স্পষ্ট হয়নি৷ তাই তাদের পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷


এদিন তিনি বলেন, ওই শিশুটিকে বিএসএফ হাসপাতালে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে৷ কারণ, তার বাড়তি যত্নের প্রয়োজন রয়েছে৷ তাঁর কথায়, জিবি হাসপাতালে কোভিড-১৯ কেন্দ্রে অন্যান্য করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে ওই শিশুটিকে রাখা সম্ভব নয়৷ তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে বিএসএফ হাসপাতালে পৃথক কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে৷ সেখানে চিকিৎসা চলছে৷


প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ কিন্তু, বিএসএফ পরিবারের ওই শিশুটি ভিন্ন অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে৷ পাশাপাশি তার বাবা ও মা-র কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা বলেও মনে করা হচ্ছে৷


এদিকে, গতকাল ত্রিপুরায় নতুন করে ২২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল৷ তাঁদেরকেও আজ বৃহস্পতিবার আগরতলার জিবি হাসপাতালে আনা হয়েছে৷ তাঁরা সকলেই বিএসএফ পরিবারের সদস্য৷ তাঁদের মধ্যে তিন শিশু ও একজন মহিলা রয়েছেন৷ তাঁরা ধলাই জেলা সদর আমবাসায় জহরনগরস্থিত বিএসএফ ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের মুখ্য কার্যালয়ে ছিলেন৷ আজ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও বিএসএফএ-র দুটি গাড়িতে তাঁদের আগরতলায় আনা হয়েছে৷


প্রতিবারের মতোই আজ দুপুরে জওহরনগর থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি গাড়ি ২২ জন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়৷ বিকেলের মধ্যেই তারা আগরতলায় পৌঁছে গিয়েছেন৷ তাঁদের জিবি হাসপাতালের কোভিড-১৯ কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছে৷ তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন৷
বিএসএফ জওয়ানদের জন্য শালবাগানস্থিত তাদের নিজস্ব হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ভারত সরকার ওই হাসপাতালটিকেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় উৎসর্গ করেছে৷ ফলে, ত্রিপুরায় এখন দুটি হাসপাতাল শুধুমাত্র কোভিড-১৯ চিকিৎসায় উৎসর্গ করা হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, বিএসএফ-এর কয়েকজন আক্রান্ত জওয়ানকে ওই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *