নয়াদিল্লি, ২ মে (হি. স.): দেশে করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে তৎপর কেন্দ্র । যার জন্য শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষিক্ষেত্রর নানা সমস্যা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিপণ্য বিপণন, অতিরিক্ত উৎপাদিত পণ্যের ব্যবস্থাপনা, কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাওয়ার সুবিধে এবং উপযুক্ত আইন গঠনের মধ্য দিয়ে কৃষিকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত করার মত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বর্তমান বিপণন ব্যবস্থাকে আরও কৌশলগত সহায়তা প্রদান এবং কৃষিক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রর পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা, এরজন্য সুবিধেযুক্ত ঋণদান , পিএম-কিষান সুবিধাভোগীদের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেবার বিশেষ উদ্যোগ বৃদ্ধি এবং রাজ্যর মধ্যে ও এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে উৎপাদিত ফসল বিক্রির সুবিধা যেন কৃষকরা পান সেই বিষয়গুলিও বৈঠকে স্থান পায়। ই-কমার্সের উন্নতিতে ই-ন্যামকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়, সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কৃষি-অর্থনীতিতে মূলধন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিক্ষেত্রের নতুনভাবে বিকাশের জন্য দেশে অভিন্ন আইনী কাঠামো গড়ে তোলার সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখার বিষয়েও আলোচনা হয়। কৃষিকাজে জৈব-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাষের খরচ কমানোর দিকটি নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের স্বার্থ রক্ষা করে আদর্শ জমি ইজারা আইনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আইনকে কিভাবে যুগোপযোগী করা যায় সেই বিষয় নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানীতে উৎসাহ দেবার জন্য নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য বিশেষ ব্র্যান্ড ও পরিষদ গঠন, চুক্তি ভিত্তিক চাষ ও কৃষি ক্লাস্টার গঠনের মধ্য দিয়ে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ কি করে তৈরি করা যায় বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়।
আমাদের কৃষকদের সুবিধের জন্য কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করে তুলতে, কৃষি বিপননে স্বচ্ছতা আনতে কৃষক যাতে সর্বোচ্চ লাভবান হন সেই জন্য এফপিও গুলিকে আরো শক্তিশালী করে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের পছন্দ মত চাষ, ফসলের ভালো দাম পাওয়া এবংকৃষি বাজারগুলির জন্য বর্তমান আইন গুলির পর্যালোচনার উপর বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।