চুনী গোস্বামী প্রয়াত, শোকপ্রকাশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা, ৩০ এপ্রিল ( হি স): ফের ক্রীড়া জগতে নক্ষত্র পতন। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি ফুটবলার চুনী গোস্বামী। মৃত্যুকালে ফুটবলালের বয়স হয়েছিল ৮২। ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর।

টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে শোকাহত এটা জেনে কিংবদন্তি ফুটবলার চুনি গোস্বামী আর নেই।একজন সত্যিকারের তারকা এবং একজন ফুটবল আইকন, তিনি ভারতীয় ফুটবলে দেখা সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি এক বহুমুখী ব্যক্তিত্ব যিনি অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন’।

আরও একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,’ তাঁর মৃত্যুতে ক্রীড়া, বিশেষত ফুটবলের জগতে বিপুল শূন্যতার সৃষ্টি হল।খেলাধুলার প্রতি আবেগের সাথে তার এক সেরা জড়িত এক পুত্রকে হারাল বাংলা।আমি চুনী গোস্বামীর পরিবার- পরিজন, ফুটবলপ্রেমী ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি’।

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.২৫ নাগাদ যোধপুর পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চুনী গোস্বামী। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বিকেলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট মারা যান এই সর্বকালের সেরা ফুটবলার।১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলেন। তিনি। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ অবধি মোহনবাগানের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের হয়ে ১১ টি গোল করেছেন তিনি। হাজার ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে তার নেতৃত্বে সোনা জেতে মোহনবাগান। ১৯৬৪ সালে তার নেতৃত্বে রূপো পায় তাঁর দল। ১৯৬৮ সালে ফুটবল জগত থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করেন এবং রঞ্জি ট্রফিতে তিনি বাংলার অধিনায়কত্ব করেন। তিনি দুবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিলেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং ডানহাতে মিডিয়াম পেস বল করতেন। তিনি ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরি সহ ১৫৯২ রান করেছিলেন। তিনি বল করে ৪৭টি উইকেটও নিয়েছিলেন। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে চুনী গোস্বামী অর্জুন পুরস্কার এবং ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন।২০০৫ সালে তিনি মোহনবাগান রত্ন পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *