নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৮ এপ্রিল৷৷ করোনার প্রকোপে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র দেশের গরিব মানুষজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা চালু করেছে৷ তাতে, সমগ্র দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন৷ সেই চিত্র ত্রিপুরার প্রত্যন্তেও ফুটে উঠেছে৷
এই প্রকল্পে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার কল্যাণপুর ব্লকের অধীন পশ্চিম ঘিলাতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপিএল অন্ত্যোদয় ও অন্নপূর্ণা কার্ডধারীরা ওই সুবিধা ভোগ করে চলছেন৷ পশ্চিম ঘিলাতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের নববই ভাগ ভোক্তা ওই সুবিধা পেয়ে উপকৃত, জানালেন পশ্চিম ঘিলাতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জনৈক রিংকু দেববর্মা৷
অন্যদিকে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৫-ঊর্ধ বৃদ্ধ ক্ষেত্রমোহন দেববর্মার কথায়, তিনি বিনামূল্যে দুবার ২০ কেজি করে চাল পেয়েছেন৷ লকডাউনে সারা দেশ বন্ধ৷ ফলে এই চাল পাওয়ায় খুবই খুশি তিনি৷ একইভাবে খুশি ফুটে উঠেছে প্রদীপ বর্মার মুখে৷ তাঁর কথায়, আমরা বিনামূল্যে চাল পেয়েছি৷ তার জন্য আমাদের খুব উপকার হয়েছে৷ তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে৷ তাই আমদের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ৷ কৃতজ্ঞতার সুরে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সাহায্যে আমরা ভীষণ খুশি, উপকৃত হয়েছি৷
এই প্রকল্পের আরেক সুবিধাভোগী রিনা দেবনাথও প্রতিবেদকের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, করোনার প্রকোপে লকডাউন চলছে৷ ফলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি৷ তাই সরকারের কাছ থেকে বিনামুল্যে চাল পাওয়ায় আমাদের ভীষণ উপকার হয়েছে৷ একই কথা বলেন রঞ্জিত দেববর্মাও৷ তাঁর দাবি, চাল বিনামূল্যে পেয়েছি দুবার৷ করোনার কারণে লকডাউনে ঘর থেকে বের হতে পারছি না৷ মোদী সরকার এই চাল দেওয়ায় আমাদের সহায়তা হয়েছে৷ ওই এলাকারই বাসিন্দা রাজেশ দেববর্মা বলেন, তিনি বিনামূল্যে ২০ কেজি করে ২ বার চাল পেয়েছেন৷ তিনিও লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷ কেন্দ্রীয় সহায়তায় চাল পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত তিনি৷ একই কথা বলেন দীপালি দেবও৷
দেখা যাচ্ছে, আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বলদের এই লকডাউন চলাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চাল গরিবদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে৷