নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ একদিকে করোনা মহামারির প্রকোপ, একইসাথে করোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন, এরই মধ্যে প্রকৃতির রুদ্ররূপে নাভিশ্বাস উঠেছে ত্রিপুরাবাসীর৷ শুক্রবার ফের কালবৈশাখীর ঝাপটায় রাজ্যে কিছু এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে৷ মানুষের বাড়িঘর ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে৷
ত্রিপুরা রাজ্য দুযর্োগ মোকাবিলা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা ত্রিপুরায় ৬২টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ৪টি বাড়ি মারাত্মকভাবে এবং ৫০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ত্রিপুরার উপর দিয়ে আজ ১১০-১১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বয়ে গেছে৷ শুধু তা-ই নয়, কৈলাসহরে ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতও হয়েছে৷ তাছাড়া, আগামী ২৪ ঘণ্টা ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷
আগরতলা বিমানবন্দরে অবস্থিত আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ ত্রিপুরায় কালবৈশাখীর ঝড় আছড়ে পড়েছিল৷ ওই ঝড় উত্তর থেকে আগরতলার উপর দিয়ে দক্ষিণে গেছে৷ তবে আগরতলা এবং ত্রিপুরার দক্ষিণে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি৷ কিন্ত, উত্তর ত্রিপুরা, বিশেষ করে ঊনকোটি জেলায় ওই ঝড়ের ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী কৈলাসহরে ৬০ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে৷
এদিকে, ওই ঝড়ে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি৷ ত্রিপুরা রাজ্য দুযর্োগ মোকাবিলা দফতরের রিপোর্ট, আজকের ঝড়ে সারা ত্রিপুরায় ৬২টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তার মধ্যে ৮টি বাড়ি সম্পুর্ন, ৪টি বাড়ি মারাত্মকভাবে এবং ৫০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ দেখা গেছে, কুমারঘাট-এ ১টি, পেঁচারথলে ১টি, কিল্লায় ২টি, অমরপুরে ১টি, অম্পিতে ২টি এবং তেলিয়ামুড়ায় ১টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তেলিয়ামুড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৭,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, কুমারঘাটে ২টি, পেঁচারথলে ২টি বসতবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়া, আমবাসায় ৫টি, কুমারঘাটে ১৪টি, পেঁচারথলে ২৮টি, করবুকে ১টি এবং শিলাছড়িতে ২টি বসতবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে৷
চলতি মাসে বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরায় ঝড় আছড়ে পড়েছে৷ এতে ইতিপূর্বেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী এ-মাসে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ, ৩৩০টি বসতঘর মারাত্মকভাবে এবং ১৬৮৫টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷