নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ফলে বেশকিছু ভারতীয় পরিবার কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে রয়েছেন৷ ভারতীয় নাগরিক হলেও কাঁটাতারের গেইট পাড়াপাড় হয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ওপারের ভারতীয় নাগরিকরা৷ বিশেষ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লকডাউন ঘোষণা করায় এই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে৷
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত প্রকল্প অনুযায়ী বিনামূল্যে রেশন তাদের হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলেও বহু ভারতীয় নাগরিক সপরিবারে এখনও কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাস করছেন৷ তাদেরকে কাঁটাতারের এপারে এনে পুনর্বাসন দেওয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ তবে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে যাবতীয় সরকারি সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেন৷ কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকার ফলে ইচ্ছে করলেই যে কোন সময় তারা কাঁটাতারের গেইট ডিঙিয়ে আসতে পারছেন না৷
পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিএসএফের অনুমতি নিয়েই তাদেরকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রেশন সামগ্রী এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে নিতে আসতে হয়৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আবার নিজ বাসগৃহে ফিরে যেতে হয়৷ এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লকডাউন ঘোষণা করায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের ভারতীয় নাগরিকদের দুর্দশা আরও চরমে উঠেছে৷ বিএসএফ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে৷ এপারে আসার ক্ষেত্রে কঠোরতাও বৃদ্ধি করেছে৷ ফলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা৷ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মহকুমা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও সাধারণ প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের হাতের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ রেশনসব ডিলারকে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ণ স্থানে গিয়ে রেশন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে৷ সে অনুযায়ী তাদের মধ্যে সরকার ঘোষিত বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী এবং অন্যান্য রেশন সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, এই সঙ্কটময় মুহূর্তে রেশনসপ ডিলার নিজেও ভোক্তাদের মধ্যে বিনামূল্যে সাবান, সেনিটাইজার, বিসুকট এবং মুড়ি সরবরাহ করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন৷
রামনগর বিধানসভা এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত সীমান্ত এলাকায় গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের অসুবিধা সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন৷ তিনি নিজেও রেশন সরবরাহ ব্যবস্থা পরখ করেছেন৷