ঢাকা, ১০ এপ্রিল (হি. স.) : বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ সমুদ্র উপকূলের পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় ভারতীয় নাগরিক সাত তাবলীগ জামাতের সদস্যকে বিশেষ কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তিন মাস আগে তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এদের প্রাথমিক কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন মারকাস বা তালিম ঘরে বিশেষ কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনর তরফ থেকে এই খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় এই সাত নাগরিক এই বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাবলীগ জামাতের সদস্য ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে আসেন। এর আগে তারা পটুয়াখালী সদরে ৩৩ দিন, কলাপাড়া উপজেলায় ১৮ দিন ও গলাচিপা উপজেলায় ৮ দিন অবস্থান করে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত সাগরপাড়ের চরআন্ডা গ্রামে আসেন।
৮ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে আসেন। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে তাবলীগ জামাত থেকে ফিরে আসা বেশ কয়েকজন সদস্যের করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাই ভারত থেকে আসা তাবলীগ জামাতের সদস্যদের দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায় এবং এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। বাংলাদেশের তাবলীগের কেন্দ্রীয় অফিস কাকরাইর থেকেও করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাশফাকুর রহমান জানান, খাবারসহ নানা সমস্যার কারণে তাবলীগের সদস্যরা চরআন্ডা থেকে এখানে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। যেহেতু এই তাবলীগ সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরও তারা বিদেশি নাগরিক। তারা যাতে বাইরের অন্য কারও দ্বারা করোনা সংক্রামিত না হন, এজন্য গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন মারকাস ঘরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তাবলীগ জামাতের ভারতীয় সদস্যদের আপাতত প্রচার না চালাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের এই সদস্যরা ভারতের বিহার রাজ্যের বাসিন্দা।