নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ এপ্রিল৷৷ করোনা সংক্রান্ত ইস্যুতে ভুল তথ্য প্রচার করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস৷ বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতেও এই রাজনীতি দুর্ভাগ্যজনক বলে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
সোমবার উদয়পুরের এক মহিলা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বলে সন্ধান মিলেছে৷ তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়ে যায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়৷ গোমতী জেলা থেকে আগরতলা সর্বত্রই ব্যাপক তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সামাজিক গণমাধ্যমে রোগিনী সম্পর্কে অসত্য তথ্য প্রচার করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস৷
আজ সকালে তিনি বলেন, আক্রান্ত ওই মহিলা গোমতী জেলা হাসপাতালে ৬ দিন ধরে জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ কোনও ধরনের সরকারি তথ্য ছাড়াই তিনি বলেন, এই ছয় দিন ওয়ার্ডে থাকাকালীন নাকি রোগিনীর সঙ্গে বহু মানুষের যোগাযোগ হয়েছে৷ কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে অন্যটা৷ আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, জেলা হাসপাতালে ওই মহিলা ভর্তিই ছিলেন না৷ তিনি আউটডোরে ডাক্তার দেখিয়ে ছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন৷
শুধু তাই নয় এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের আরও কিছু বক্তব্যকে খণ্ডন করেন রতন লাল নাথ৷ গৌতম দাস অভিযোগ করেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে কেন কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়নি৷ অথচ ডাক্তারি ব্যবস্থাপনায় আজকের পরিস্থিতিতে এটা একেবারেই সম্ভব নয়৷ সম্পূর্ণ না জেনেই ধরনের অভিযোগ করেছেন বলে বক্তব্য মন্ত্রীর৷
গৌতম দাস রাজ্য সরকারকে এও প্রশ্ণ করেছিলেন, কেন আইজিএম হাসপাতালে পৃথকভাবে রাখা হবে না রোগীকে? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, জিবি হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর জন্য আলাদা নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে রোগীর অন্যান্য যে লক্ষণগুলি থাকে সেগুলি চিকিৎসা করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আইজিএম হাসপাতালে নেই৷ ফলে জিবিপিতে এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রতন লাল নাথ আহ্বান রাখেন, বর্তমান কঠিন সময় যেন শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য এই ধরনের বক্তব্য রাখা না হয়৷ এতে মানুষ যেমন বিভ্রান্ত হয় তেমনি এই গোটা প্রক্রিয়ায় যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের উপরও প্রভাব পড়ে৷ এই সংক্রান্ত বিষয়ে গৌতম দাসের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷
এদিকে,সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ এক বিবৃতিতে তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ সিপিএম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্টির মুখপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট দেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীনি গোমতী জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে তিনি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম৷ একজন সরকারি মুখপাত্র সন্ধ্যায় জানিয়েছেন রোগিনী গোমতী জেলা হাসপাতালে ছিলেন না৷ সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে পরিবেশিত ভুল তথ্যটির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন গৌতম দাশ৷