নয়াদিল্লি, ৭ এপ্রিল (হি.স.) : দেশের একাধিক প্রান্তে স্থানীয় পর্যায়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনা সংক্রমণের প্রসার খতিয়ে দেখতে সংক্রমিত গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (ক্লাস্টার) ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, দিল্লির নিজামুদ্দিনের মতো জমায়েত হয়েছে এমন এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আগামী বুধবারের মধ্যেই প্রথম দফায় অ্যান্টিবডি-কিট হাতে আসবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তার পরেই শুরু হতে চলেছে ওই পরীক্ষা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ভাইরোলজি ও কমিউনিকেবেল ডিজ়িজ়-এর প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর আজ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ লক্ষ অ্যান্টিবডি পরীক্ষা কিটের বরাত দেওয়া হয়েছে। যার অর্ধেক আগামী দু’দিনের মধ্যে চলে আসবে। ওই ব্যবস্থায় খুব অল্প সময়ে ফল জানা সম্ভব। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব বলেন, ‘‘যে সব এলাকা থেকে বেশি রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বা দিল্লির নিজামুদ্দিনের মতো যে এলাকায় এক সঙ্গে বহু লোকের জমায়েত হওয়ার তথ্য রয়েছে, সেই ক্লাস্টারে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের উপসর্গ (ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস বা আইএলআই) দেখা দিলে ওই পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আইএলআই রোগীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখা হবে। যদি অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না। ওই পরীক্ষার তথ্য যে ভাবে আইসিএমআর পোর্টালে দিতে হয়, সে ভাবেই যে বেসরকারি ল্যাব অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করবে, তাদেরও রোগী সংক্রান্ত তথ্য সমস্ত পোর্টালে দিতে হবে। যাতে যাঁদের দেহে অ্যান্টিবডি পাওয়া যাচ্ছে, এমন রোগীকে দ্রুত নিভৃতবাসে পাঠিয়ে, তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা খুঁজে বার করা সম্ভব হয়।-

