নয়াদিল্লি, ৫ এপ্রিল (হি.স.): কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বল্প মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি এমএসএমই-র কারিগরি কেন্দ্রগুলি । কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের ১৮টি চালু কারিগরি কেন্দ্র ও স্বশাসিত সংস্থাগুলি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। কলকাতার সেন্ট্রাল টুল রুম ও ট্রেনিং সেন্টার সাগর দত্ত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সঙ্গে সহযোগিতায় স্বল্প মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করছে তারা । এই ভেন্টিলেটরগুলির গুণমান যাচাই করার জন্য পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে, এই ভেন্টিলেটরগুলির কার্যকরিতাও খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই প্রতি মাসে ২০ হাজার এই ধরনের ভেন্টিলেটর উৎপাদন শুরু করবে।
চেন্নাই-স্থিত সেন্ট্রাল ফুটওয়্যার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সিলিং মাস্ক এবং মেডিকেল গ্রাউন সংগ্রহ করে সেগুলিকে কাজে লাগানোর জন্য পাঠানো হচ্ছে। হায়দরাবাদের এমএসএমই টেকনোলজি সেন্টার প্রটোটাইপ ভেন্টিলেটর তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছে। এই ধরনের ভেন্টিলেটরগুলিতে সেন্সর-ভিত্তিক ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে কনৌজ-স্থিত এমএসএমই টেকনোলজি সেন্টার অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করেছে। এই স্যানিটাইজার রেল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও, ইন্সটিটিউট ফর ডিজাইন অফ ইলেক্ট্রিক্যাল মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট আয়ন-ভিত্তিক স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে। এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কার্যকরিতা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে এর ব্যবহার একাধিক ক্ষেত্রে সম্ভব।
মন্ত্রকের উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি ছাড়াও হায়দরাবাদ, ভুবনেশ্বর ও জামশেদপুরের টেকনোলজি সেন্টারগুলি করোনা টেস্টিং কিট উৎপাদন শুরু করবে। ভুবনেশ্বর সেন্টারে ইতিমধ্যেই এ ধরনের টেস্টিং কিট তৈরি করা হয়েছে। এগুলির কার্যকরিতা একবার প্রমাণিত হলে অন্যান্য সেন্টারেও উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।