BRAKING NEWS

করোনা : পরিস্থিতি পর্যালোচনা উপমুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ এপ্রিল৷৷ উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বৃহস্পতিবার মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে অমরপুর মহকুমা প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং কর্মসূচি সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন৷ আজ বিকালে অমরপুর রাজস্ব ডাকবাংলোয় উপমুখ্যমন্ত্রী মহকুমার টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন৷


এদিনের বৈঠকে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস, অমরপুর ব্লকের বিএসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জয় জমাতিয়া, মহকুমাশাসক বিজয় সিনহা, এসডিএমও শুভেন্দু দেববর্মা, অমরপুর ও অম্পি ব্লকের বিডিওগণ, মহকুমা ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির নোডাল অফিসার তথা ডিসিএম শিবজ্যোতি দত্ত, অম্পি ও অমরপুরের এসডিপিও, বিদ্যুৎ এবং ডিডব্লিউএস দফতরের আধিকারিকগণ৷ বৈঠকে এসডিএমও জানান, মহকুমায় ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ এতে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী মহকুমার আর্থিক ক্ষেত্রে দূর্বল এপিএল কার্ডধারীদের দ্রুত চিহিণত করে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী প্রদানের নির্দেশ দেন৷ এক্ষেত্রে মহকুমাশাসক জানান, আগামী ১৬ দিনের খাদ্য সামগ্রী মহকুমায় মজুত রয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী মহকুমার দুটি ব্লকের বিডিওদের কাছ থেকে গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং সমস্যা নিরসনের জন্য যথোপযুক্ত পরামর্শও নির্দেশ দেন৷


উপমুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেগার কাজ শুরু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ তিনি পাহাড়ি এলাকায় পানীয়জলের যাতে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকে ডিডব্লিউএস, বিদ্যুৎ দফতর এবং বিডিও-দের বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দেন৷ ডিডব্লিউএস দফতরকে পানীয়জলের সমস্যা দূর করতে দ্রুত অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে পাঠাতে বলেন৷ এছাড়া পাহাড়ের জনজাতিদের রেশন সামগ্রী সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাতায়াতের বিষয়ে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নিতে মহকুমাশাসককে পরামর্শ দেন৷ সভায় বিধায়ক রঞ্জিত দাস মহকুমা প্রশাসনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ যথা গরিব জনসাধারণের মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ে নজরদারি, সচেতনতা প্রচার প্রভৃতি বিষয় সুষ্ঠুভাবে করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন৷


এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে অমরপুরের বিধায়ক রঞ্জিত দাস ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার, তপন চক্রবর্তী (নতুনবাজার) ৫০ হাজার, অমরপুর ইলেকট্রিক্যাল সাবডিভিশান ১০ হাজার, নতুনবাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ১০ হাজার, অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার কর্মী প্রতিভা সাহা ৫ হাজার, অমরপুর বিবিআই, শঙ্কর সাহা ৩ হাজার, টিআরএলএস উত্তরণ ২ হাজার, অনুপ দাস ২ হাজার, রাজ দত্ত (নতুনবাজার) ১ হাজার, সুশান্ত দেবনাথ ১ হাজার, মা কালী স্টিল ফার্নিচার (বিজয় সাহা) ৫ হাজার, রাজীব প্রসাদ ২৫ হাজার এবং রতিরঞ্জন সাহা ৫ হাজার টাকা সহ মোট ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার চেক উপমুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন৷ উপমুখ্যমন্ত্রী লকডাউন মেনে চলার জন্য আবেদন রাখেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *