নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মার্চ৷৷ ১০৩২৩! এক দীর্ঘ অধ্যায়ের পারিসমাপ্তি হল আজ ৩১ মার্চ৷ অ্যাডহক ভিত্তিতে তাঁদের শিক্ষকতার চাকরির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে গেছে৷ আগামীকাল থেকে তাঁরা সরকারি শিক্ষক বলে গণ্য হবেন না৷ তবে তাঁদের অশিক্ষক পদে নিযুক্তির জন্য সুপ্রিমকোর্টের মতামত জানতে আপিল করেছে রাজ্য সরকার৷ গতকালই ই-মেলে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের পরিস্থিতি সাপেক্ষে এই আবেদনের শুনানি কবে হবে তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি শূন্যপদে ওই চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিযুক্তি দিতে চাইছে৷ তবে, ভবিষ্যতে কোনও আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্য সুপ্রিমকোর্টের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে৷
২০১৪ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকর বাতিল করে দেয়৷ তৎকালীন রাজ্য সরকার ওই রায়-কে সুপ্রিমকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানায়৷ কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পর সুপ্রিমকোর্টও ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে৷ তবে ত্রিপুরার শিক্ষা পরিকাঠামো বিবেচনা করে সুপ্রিমকোর্ট ওই শিক্ষকদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি দেয়৷ ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত ওই নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেয় সুপ্রিমকোর্ট৷ সে মোতাবেক আজ তাঁদের চাকরির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে গেছে৷
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, তাঁদের জন্য বিভিন্ন দফতরে ১০,৬৬১টি শূন্য পদ খুঁজে বের করা হয়েছে৷ বর্তমানে ৮,৮৮২ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক অবশিষ্ট রয়েছেন৷ তাঁদের গ্রুপ-সি কিংবা গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ সে মোতাবেক মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷ তিনি বলেন, তাঁদের নিযুক্তির ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের মতামত চাওয়া হয়েছে৷ কারণ, ওই অশিক্ষক পদে নিযুক্তি একমাত্র উপায়৷ তিনি বলেন, ওই শিক্ষকদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে৷ ফলে, তাঁদের অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া যায় না৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্টে ই-মেলে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে৷ এখন শুনানির অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা নাই৷

