নির্ভয়া কাণ্ড : ফের ফাঁসির মহড়া তিহার জেলে

নয়াদিল্লি, ১৮ মার্চ (হি.স.): দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসির মহড়া হয়ে গেল দিল্লির তিহাড় জেলে| আগামী ২০ মার্চ সকাল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ ফাঁসি হওয়ার কথা পবন গুপ্ত, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংয়ের| তার প্রস্তুতি হিসেবেই বুধবার, জল্লাদ পবনের উপস্থিতিতে তিহাড় জেলে ফাঁসির মহড়া সারা হয়েছে|

প্রথমবার একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হবে

তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ মার্চ সকাল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ নির্ভয়া কাণ্ডের চারজন অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে| তিহার জেলের প্রাক্তন মুখপাত্র ও আইনি উপদেষ্টা সুনীল গুপ্তা জানিয়েছেন, ৩৫ বছরের কর্মজীবনে ৮ জনকে ফাঁসি দিতে দেখেছি| ওই ৮ জনের মধ্যে ১৯৮২ সালে রাঙ্গা বিল্লা এবং ২০১৩ সালে আফজল গুরু রয়েছে| সুনীল গুপ্তার কথায়, এই প্রথমবার চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে তিহাড় জেলে|

ফাঁসির যাবতীয় প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে

সুনীল গুপ্তা জানিয়েছে, তিহাড়ের ৩ নম্বর জেলে ওই চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে| ফাঁসি হবে সকাল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ, অপরাধীদের ২০ মার্চ ভোর চারটে নাগাদ ওঠানো হবে| প্রথমে স্নান করতে বলা হবে| তারপর চা খেতে দেওয়া হবে| কালো পোশাক পরতে বলা হবে| ভোর ৪.৩০ মিনিট নাগাদ ম্যাজিস্ট্রেট পৌঁছবেন, তিনিই দোষীদের শেষ ইচ্ছা কী তা জিজ্ঞাসা করবেন| সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীদের হাত পিছন থেকে বাঁধবে জল্লাদ, হাত বাঁধা অবস্থায় ফাঁসিকাঠ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে নির্ভয়ার অপরাধীদের| ফাঁসি দেওয়া হবে সকাল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ|

৩০ মিনিট ধরে ঝুঁলিয়ে রাখা হবে দোষীদের

সুনীল গুপ্তা জানিয়েছেন, ফাঁসি হওয়ার পর প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ঝুঁলিয়ে রাখা হবে অপরাধীদের| এরপর চিকিত্সকরা গিয়ে মৃত ঘোষণা করবেন| দেহগুলি নামানোর পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে| ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে| যদি কেউ দেহ নিতে অস্বীকার করে, তাহলে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষই শেষকৃত্যের কাজ সম্পন্ন করবে| অপরাধীদের সমস্ত জিনিসপত্র পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে|