চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার গণবস্থানে অ্যাডহক শিক্ষকরা, আইন অমান্য আন্দোলনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মার্চ৷৷ চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার গণ-অবস্থানে বসলেন অ্যাডহক শিক্ষকরা৷ শাঁখ বাজিয়ে এবং উলুধবনি দিয়ে শনিবার গণ-অবস্থানে বসেন তাঁরা৷ তা দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা যুদ্ধে নামছেন৷ অবশ্য অ্যাডহক শিক্ষকদের জ্বালাময়ী ভাষণে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে, তাঁদের চাকরির নিশ্চিয়তা না মিললে ত্রিপুরা সরকারের সাথে যুদ্ধ শুরু করবেন তাঁরা৷ প্রস্তুতিও এমনটাই নিয়েছেন, তা আজ সাফ জানিয়েছেন অ্যাডহক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, অ্যাডহক শিক্ষকদের চাকরি সুনিশ্চিত না হলে এবং ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে ত্রিপুরা সরকার সহযোগিতা না করলে ১৭ মার্চ থেকে তাঁরা আইন অমান্য আন্দোলনে ঝাঁপাবেন৷


প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মার্চ অ্যাডহক শিক্ষকদের চাকরির সময়সীমা সমাপ্ত হচ্ছে৷ সময় যত ঘনিয়ে আসছে তাঁদের আন্দোলন ততই তেজি রূপ নিচ্ছে৷ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ১০৩২৩ অ্যাডহক শিক্ষক সংগঠন ৪৮ ঘন্টার গণ-অবস্থান শুরু করেছে৷ গণ-অবস্থান মঞ্চ থেকে সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা বলেন, শিক্ষা দফতরের ভুলে তাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ তাঁর মাশুল ত্রিপুরা সরকারকেই গুনতে হবে৷ তিনি বলেন, পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতে আমরা গণ-অবস্থানে বসেছি৷ ওই দাবিগুলি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপাবো আমরা৷ তিনি বলেন, ভেলিডেশন অ্যাক্ট লাগু করে তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত এবং প্রয়াত অ্যাডহক শিক্ষকদের পরিবারকে ডাই-ইন-হারনেসে চাকরি-সহ পাঁচ দফা দাবি পূরণ করতেই হবে৷ সাথে তিনি বলেন, আগামী ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে৷ ওই দিন মামলায় ত্রিপুরা সরকারকে সহায়তা করতে হবে৷ তা না হলে, আগামী ১৭ মার্চ থেকে আইন অমান্য আন্দোলনে নামবো আমরা, হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি৷


এদিন গণ-অবস্থান মঞ্চে বক্তারা ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন৷ পূর্বতন সরকার এবং বর্তমান সরকার উভয়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করেছেন তাঁরা৷ তাঁদের বক্তব্য, পূর্বতন সরকারের ভুল নীতির কারণে আদালতের রায়ে ১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ তেমনি, বর্তমান সরকার ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য চাকরি বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখন দু বছরে কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ তাঁদের চাকরির নিশ্চয়তা না দেওয়া হলে ত্রিপুরায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং তাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হলে তার জন্য ত্রিপুরা সরকার দায়ী থাকবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷