জেনেরিক ওষুধ ব্যবহারে ১ বছরে ২২০০ কোটি টাকা সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হয়েছে : সাংসদ প্রতিমা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মার্চ৷৷ জেনেরিক ওষুধ ব্যবহারে গত এক বছরে দেশের সাধারণ মানুষের ২২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে৷ আগামী এক বছরে চার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক শনিবার এই তথ্য দিয়েছেন৷ আজ ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা-য় উপকৃতদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেন৷ ওই অনুষ্ঠান সমাপ্ত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক জনৌষধি পরিযোজনার বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরেন৷


সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের কথায়, চিকিৎসায় খরচ কমানোর ক্ষেত্রে জেনেরিক ওষুধের কোনও বিকল্প নেই৷ অথচ মানুষের মনে ভ্রম ছড়িয়ে রয়েছে, জেনেরিক ওষুধে রোগের উপশম হবে না৷ তিনি বলেন, সুন্দর মোড়কে ওষুধের মতোই কার্যকরী জেনেরিক ওষুধ৷ তা মানুষকে বুঝাতে হবে৷ জেনেরিক ওষুধ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, চিকিৎসকদেরও জেনেরিক ওষুধের পরামর্শ দিতে উৎসাহিত করতে হবে৷


তিনি বলেন, সারা দেশের ৭০০টি জেলায় ৬২৫০টি জনৌষধি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে৷ ত্রিপুরায় ২৫টি জনৌষধি বিক্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি সচল৷ তাঁর দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সারা দেশে ৩২৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার জেনেরিক ওষুধ বিক্রি হয়েছে৷ সেই জায়গায় অন্য ওষুধে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হত৷ এতে স্পষ্ট, এক বছরে সাধারণ মানুষের ২২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে৷ আগামী এক বছরে ৪০০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি৷


সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক আরও বলেন, জেনেরিক ওষুধের বিক্রি বাড়লে রোগীর পরিবারের আর্থিক দিক উপকৃত হওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে কর্মসংস্থানও বাড়বে৷ তাঁর কথায়, জেনেরিক ওষুধের দোকানে মাত্র ১ টাকায় স্যানিটারি নেপকিন বিক্রি করা হচ্ছে৷ মহিলারা তাতে দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন৷ তাঁর দাবি, বর্তমানে ৮০০ ধরনের ওষুধ এবং ১৫০ ধরনের সার্জিক্যাল সামগ্রী জেনেরিক ওষুধের দোকানে উপলব্ধ রয়েছে৷ আগামীদিনে ১২০০ ধরনের ওষুধ এবং ২৫০ ধরনের সার্জিক্যাল সামগ্রী জেনেরিক ওষুধের দোকানেই বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷


তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেনেরিক ওষুধ ব্যবহারে গ্রামের মানুষকে উৎসাহিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ কারণ, এতে রোগী ও ব্যবসায়ী উভয়েরই উপকার হবে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় জনৌষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি করে ১ বছরে মার্কফেড ২৫ লক্ষ টাকা লাভ করেছে৷ তাঁর দাবি, আবেদন করলেই জনৌষধি কেন্দ্র খোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সহায়তা করছে৷ এদিকে, গুয়াহাটিতে ওষুধের গুদামে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই৷ সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দৃষ্টিতে নেবেন এবং সমস্যার প্রতিকার চাইবেন বলে জানিয়েছেন৷