নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার/ তেলিয়ামুড়া, ২৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্যে যান দুর্ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ শনিবারের এই দুর্ঘটনায় আহদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ আহতদের শান্তিরবাজার ও গোমতী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায় জোলাইবাড়ি মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ণ এলাকায় জাতীয় সড়কে দুইটি বাইক ও বোলেরো পিকাপ গাড়ির সংঘর্ষে চার বাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন৷ দুর্ঘটনায় বোলেরো গাড়িটি জাতীয় সড়কের উপর উল্টে গিয়েছে৷
খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জোলাইবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ পুলিশ জানিয়েছে, শাখবাড়ির বাসিন্দা কমল কিশোর ত্রিপুরা(২৫), রামরাইবাড়ির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ ত্রিপুরা(২৩) ও সুদীপ ত্রিপুরা(২৬) এবং কোয়াইংফাং এলাকার বাসিন্দা মোহন ত্রিপুরা(৪০) দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন৷
এদিকে, জোলাইবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুদীপ ত্রিপুরার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন৷ বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷
ওই দুর্ঘটনায় পুলিশ দুইটি বাইক ও বোলেরো গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে৷ তবে, গাড়ির চালক ঘটনার পর পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, দুইটি বাইক এবং বোলেরো গাড়ি প্রচন্ড গতিতে ছিল৷ ফলে, কেউই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন৷
এদিকে, আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে ফের লরি দুর্ঘটনা৷ যদিও কোনো হতাহতের খবর নেই৷ এই যান দুর্ঘটনার ফলে সকাল থেকেই কয়েক শত যাত্রীবাহী এবং মালবাহী গাড়ি দুর্ঘটনার দুপাশে আটকে পড়ে৷ ঘটনা মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন আঠারো মুড়া পাহাড় এর ৪৪ মাইল এলাকা৷ ঘটনায় জানা যায় টির-০১-কে-১৬৫৫নম্বরের একটি কয়লা বোঝাই লরি তেলিয়ামুড়া থেকে আমবাসা উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ৪৪. মাইল এলাকায় বাক নিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷ যদিও দুর্ঘটনার পর লরির চালক পালিয়ে যায়৷ দুর্ঘটনাটি রাস্তার মাঝখানে হওয়ায় দুপাশে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি আটকা পড়ে যায়৷ দেখা দে যাত্রীদের মধ্যে চরম দুরবস্থা৷
পরবর্তী সময়ে মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে প্রায় সাত ঘণ্টা পর গাড়ির একটা অংশ সরাতে পারলে ছোট গাড়ি গুলিকে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়৷ এই অবস্থায় অন্যান্য দূরপাল্লার লোরি গুলির চালকদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ সমস্ত দিন না খেয়ে রাস্তার পাশে বসে থাকা লরির চালকরা পুলিশের ধীরে চলো নীতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয়৷ চালকরা অভিযোগ করে জানায় পাহাড়ের মধ্যে যদি রাত্র যাপন করতে হয় তাহলে তাদের বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে কারণ সেখানে নেই খাবার নেই কোনো দোকানের বন্দোবস্ত৷ এছাড়া সকাল থেকে এইভাবে রাস্তায় যান চলাচল করার অসুবিধা থাকলেও পুলিশি তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি৷
যদিও জানা যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরির মধ্যে থাকা কয়লা গুলি বৈধ না অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছে এ রাজ্যে তার জন্য এই গাড়ির কাগজ চালানসহ সবগুলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷