রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল : অনুষ্টুপের মজুমদারের শতরানে ঘুরে দাঁড়াল বাংলা, যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন শাহবাজ

কটক, ২০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াল বাংলা । ওড়িশার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দিনে অনবদ্য শতরান রান করেন অনুষ্টুপ | তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন শাহবাজ আহমেদ | এই দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৮।

বৃহস্পতিবার কটকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠায় ওড়িশা | হোম টিমের দলনায়ক সুভ্রাংশু সেনাপতি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনকে ৷ দ্বিতীয়  কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম থেকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলা | এদিন ৪৬ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল বাংলার। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন (৭), কৌশিক ঘোষ (৯), অভিষেক রমন (১) ফিরে গিয়েছিলেন ১০ ওভারের মধ্যে। চারে নেমে অর্ণব নন্দী থামেন ২৪ রানে। মনোজ তিওয়ারিও (৪) ফেরেন জলদি। তখন একশোর মধ্যে ইনিংস গুটিয়ে যাবে না তো, এমন আশঙ্কা ঘনিয়ে এসেছিল বাংলা শিবিরে। সেই পরিস্থিতি থেকে শ্রীবৎস গোস্বামীর সঙ্গে অনুষ্টুপের জুটি মেরামত করে দলকে। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করেন দু’জনে। সাত নম্বরে নামা শ্রীবৎস (৩৪) ফেরেন এর পর। সেখান থেকে শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে অনুষ্টুপ যোগ করেছেন ১৬৭ রান। এই জুটিই বাংলাকে পৌঁছে দিয়েছে ছয় উইকেটে ৩০৮ রানের স্বস্তিতে। ছয় নম্বরে নেমেছিলেন অনুষ্টুপ। শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। যাতে রয়েছে ২০টি চার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন শাহবাজ আহমেদ | ৮২ রানে অপরাজিত তিনি। শুক্রবার অনুষ্টুপ-শাহবাজ যত বেশি সময় ক্রিজে থাকবেন, তত ম্যাচে জাঁকিয়ে বসবে বাংলা।

চলতি মরসুমে কোনও সেঞ্চুরি করেননি। দু’বার শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফিরতে হয়েছিল নব্বইয়ের ঘর থেকে। এ বার তাই সতর্ক ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তাঁর অষ্টম সেঞ্চুরি এল দাপটের সঙ্গে। শাহবাজও খেলছেন দায়িত্বের সঙ্গে। খেলেছেন ১৫৪ বল। মেরেছেন ১৩টি চার।

লিগ পর্যায়ে অনবদ্য পারফর্ম করে আসা বাংলা রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে কটকে ওডিশার বিরুদ্ধে পিচের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি আঁচ করে বাংলা কোচ অরুণ লাল আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁরা তিন পেসার ও দুই স্পিনারে দল সাজাবেন৷ সেই মতো ইশান পোড়েল, মুকেশ কুমার ও নীলকান্ত দাসের পেস ত্রয়ীর সঙ্গে অর্ণব নন্দী ও শাহবাজ আহমেদের স্পিন জুটিকে প্লেয়িং ইলেভেনে রাখে বাংলা৷ সুদীপ চট্টোপাধ্যায় স্কোয়াডে ফিরলেও তাঁকে আপাতত রিজার্ভ বেঞ্চেই বসিয়ে রাখা হয়৷

বাংলার প্রথম একাদশ : অভিমন্যু ঈশ্বরন (ক্যাপ্টেন), কৌশিক ঘোষ, অভিষেক রামন, অনুষ্টুপ মজুমদার, মনোজ তিওয়ারি, শ্রীবৎস গোস্বামী (উইকেটকিপার), অর্ণব নন্দী, শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমার, ইশান পোড়েল ও নীলকান্ত দাস৷