লস অ্যাঞ্জেলেস ১৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর নিয়ে কিছুটা ভয় পেয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ট্রাম্পের আগমন নিয়ে প্রচন্ড উদ্দীপনা রয়েছে দেখা দিয়েছে ভারতে। যেখানে ইমরান ঘরোয়া চাপ সত্বেও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরকে ইস্যুতে পরিণত করতে পারছেন না। সেখানে প্যারিস ভিত্তিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) সন্ত্রাসীদের অর্থদানের জন্য পাকিস্তানের উপর চটে রয়েছে।
পাকিস্তানের ভয় পাওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, যখন মার্কিন রাষ্ট্রপতি উপমহাদেশ সফরকালে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে যাচ্ছেন না, তাও আবার এমন পরিস্থিতিতে যখন তিনি আফগানিস্তানে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের ‘আফগানিস্তান তালেবান’-এর সাথে যুদ্ধে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির পরে, দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার আগে গত নির্বাচনে তিনি যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করা তার পক্ষে এক বিশাল অর্জন হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ভারত সফর করবেন।
আফগান তালেবানদের সাথে ‘সহিংসতা হ্রাস’ করার মার্কিন শান্তি প্রচেষ্টা সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে।মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এস্পার রবিবার মিউনিখে বলেছেন যে এই শান্তির প্রচেষ্টায় ঝুঁকি রয়েছে, তবে এই প্রচেষ্টা যদি এগিয়ে যায়, তবে পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে এই প্রচেষ্টা কার্যকর করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি শান্তির এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অবস্থান কী ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। অবশ্যই, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র সহকারি সচিব অ্যালিস ওয়েলস সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা ও জামায়াত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

