নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ দেশের সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷রবিবার ত্রিপুরা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের ৭ম রাজ্য সম্মেলননুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার একথা বলেন৷
তিনি বলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আমলে শ্রমিক মেহনতি অংশের মানুষ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে৷ দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকার যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছে তাতে দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রমিক মেহনতি মানুষের কল্যানে কোন সংস্থান রাখেনি৷
কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই বাজেট সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কোন ভাবেই সহায়ক নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নেতিবাচক কাজকর্মের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলন সংগঠিত করে সজাগ করার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু তারা তা থেকে শিক্ষা নেয়নি৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে৷ নাগিরিকত্ব সংশোধনী আইন সংশোধনের মূল লক্ষ্যই হলো দেশে যাতে তারা নাগরিকত্বের অধিকার পেতে না পারে৷ তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করার চেষ্টা করছে৷ যে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির উপর নির্ভর করে দেশের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষ বসবাস করার চেষ্টা করছেন তা বিনষ্ট করার চক্রান্ত করছে বর্তমান সরকার৷
রাজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে মানিক সরকার বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি করুণ আকার ধারণ করেছে৷ বিগত বাম সরকারের আমলে শ্রমিকদের জন্য সরকারী ও বেসরকারী স্তরে কাজের কোন অভাব ছিল না বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা৷ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২৩ মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শ্রমিক কল্যানে রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা নেই৷ পুরানো রাস্তা সংস্কার কিংবা নতুন রাস্তাঘাট তৈরী করা হচ্ছে না৷ বাম আমলে যে কাজ শুরু হয়েছিল সেগুলি মাঝপথে থমকে পড়েছে৷ পাশাপাশি রেগার কাজও কম, মজুরী সময় মতো পাচ্ছেন না৷ শহর এলাকায় টুয়েপেও কাজ পাচ্ছেন না শ্রমিকরা৷ শ্রমজীবী অংশের মানুষজনকে বেঁচে থাকার তাগিদে লড়াই সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷

