কলকাতা, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ব্যাঙ্কশাল আদালতের এজলাসে বিচারককে জুতো ছুড়ে মারল আইএস জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া মুহাম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারােটা নাগাদ প্রধান বিচারক প্রসেঞ্জিত বিশ্বাসের ঘরে সাক্ষ্যগ্রহণপর্ব চলার সময়ে মুসা ওই কাণ্ডটি ঘটায়। বিচারককে উদ্দেশ্য করে জুতাে ছােড়া হলেও বিচারকের গায়ে তা লাগেনি। তবে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এজলাসের মধ্যে। লক্ষ্যভ্রষ্ট জুতােটি লাগে একজন আইনজীবীর কানে। তিনি আহত হন।
এর পরই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ছুটে এসে অভিযুক্তকে লকআপে নিয়ে যায়। এর আগেও মুসা ২০১৭ সালে আলিপুর জেলে থাকাকালীন এক ওয়ার্ডেনকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করে বলে অবিযোগ। ওই ঘটনার পর প্রেসিডেন্সি জেলে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও ২০১৯ সালে এক ওয়ার্ডেনকে ধারালাে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। গলা কেটে দেয় ওয়ার্ডেনের। আবার এক সপ্তাহ আগেই আদালতের ভিতর রুটি পকেটে নিয়ে ঢােকার চেষ্টা করে সে। তার বক্তব্য, জেলের খাবারের মান বােঝানাের জন্য বিচারকের জন্য সেটা এনেছিল।
কিছুদিন আগে একবার বিচারকের সামনে অভিযােগঈ জানায় মুসা। তার অভিযােগ, তার দু’হাতে , দু’পায়ে ২৪ ঘণ্টা বেড়ি পরিয়ে রাখা হচ্ছে। শুধু খুলে দেওয়া হচ্ছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময়ে। আর খাওয়ার সময়ে শিকল এমন ভাবে পরানাে থাকে যে দু ‘হাতই ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়।
কারা দফতরের এক কর্তা অবশ্য বলেন , “এই অভিযােগ মােটেই ঠিক নয়। মুসাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানাের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ( এনআইএ ) সূত্রে বলা হযেছিল, মুসা খুবই হিংস্র প্রকৃতির । তার উপরে যেন আলাদা নজরদারির বন্দোবস্ত করা হয়। ওকে একেবারে ছেড়ে রাখলে ওই অভিযুক্ত যে কী করতে পারে, তার নজির আমরা নানা সময়ে পেয়েছি।