নয়ডা, ৩ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : উত্তর প্রদেশের জেলা গৌতমুদ্দনগরে জেবার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর। খুব শীঘ্রই চালু হবে উড়ান পরিষেবা। গত সপ্তাহে প্রশাসন জেবারের ছয়টি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে মোট ১২৩৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে যমুনা কর্তৃপক্ষের (ইআইডিএ) কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রশাসনের জেভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য মোট ১৩৩34 হেক্টর জমি প্রয়োজন ছিল। যার মধ্যে ১২৩৯ হেক্টর জমি রণহরা, বনবরিবাস, দয়ন্তপুর, রোহি ও কিশোরপুরের কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।
আইজিআইয়ের থেকে বড় হবে জেবার বিমানবন্দর
সোমবার গৌতমুদ্দনগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিএন সিং বলেছেন যে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর (আইজিআই) থেকে জেবার বিমানবন্দর আরও সম্প্রসারণ করা হবে। আইজিআইয়ের আয়তন ২০৬৬ হেক্টর আর জেবার বিমানবন্দরটি ৫০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত হবে। জেবার বিমানবন্দর তৈরির পরে এই অঞ্চলের লোকদের দিল্লিতে আইজিআইয়ের মাধ্যমে যাতায়াত করতে হবে না এবং আইজিআইতেও যাত্রী সংখ্যা কমবে। জেবার বিমানবন্দর তৈরির পরে বিদেশীরা মথুরা, আগ্রাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন । দিল্লির আইজিআই এবং জেভার বিমানবন্দর মেট্রোর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে।
ছয় মাসে ১০০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ
জেলা আধিকারীকদের মতে, ছয় মাসের মধ্যে বিনা প্রতিরোধে ১২৩৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথম দফার জমিটি ৬ আগস্ট ২০১৯ অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সমস্ত কৃষকদের উপযুক্ত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে
জেবার বিমানবন্দর নির্মাণে ৮৯৭১ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তিন হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিএন সিং বলেছেন, ক্ষতিপূরণ বিতরণের কাজ এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছিল। এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার দুই দিন পরেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর হয়ে যেত । জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সময়মত সমাপ্তির জন্য, গ্রেটার নয়ডা কর্তৃপক্ষের পুরানো ভবনে একটি পৃথক অফিস তৈরি করা হয়েছিল যেখানে দিনরাত কাজ করা হয়েছিল।
৩৬২৭টি পরিবারের বাসস্থানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা
জেলা আধিকারিকের মতে, এই প্রকল্পে ৮৯৭১ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এতে ৩৬২৭ পরিবারকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানচ্যুত করতে হবে। এর জন্য, ৩ সদস্যের সাতটি দল ২০ দিনের মধ্যে জরিপ করে এবং প্রশাসনের কাছে তার প্রতিবেদন জমা দেয়, যা অনুসারে বাস্তুচ্যুত পরিবারকে অন্য কোথাও ৫০ বর্গমিটার থেকে ৫০০ বর্গমিটার পর্যন্ত জমি সরবরাহ করা হবে।
তাদের যেখানে আবাস গড়ে উঠবে, যেখানে স্কুল, হাসপাতাল, ব্যাংক ইত্যাদি নির্মিত হবে। নওদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড এবং অন্যান্য অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত পরিবারের যে কোনও সদস্যকে চাকরি বা পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোকদের একটি পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে যাতে তাদের সুবিধা পেতে কোনও সমস্যা না হয়।