কদমতলা দ্বাদশ বিদ্যালয়ে আগুনে পুড়ল পূজার প্যান্ডেল

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩০ জানুয়ারি৷৷ শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে দ্বিচারিতার কারণে বাগদেবীর পুজো পন্ড৷ সরস্বতী পূজার অঞ্জলির পূর্বেই আগুনে পুড়ে ছাই পেন্ডেল সহ মা সরস্বতীর মূর্তি৷ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উত্তরের কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,যেহেতু সরস্বতী পূজার সরকারি বন্ধ ৩০ তারিখে তাই উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা ছিল ৩০ তারিখ সরস্বতী পূজা হওয়ার৷ ঠিক তখনই প্রতিবাদ জানায় সুকলের ছাত্রছাত্রীরা৷


ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি জানায় অধিকাংশ সুকল ও বাড়িতেই ২৯ তারিখ অর্থাৎ বুধবার মা সরস্বতী পুজো হচ্ছে৷ তাই কদমতলা উচ্চতার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুপুর বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ২৯ তারিখ সরস্বতী পুজো করার দাবি জানায়৷ কিন্তু সুকলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রদের দাবি নাকচ করে ৩০ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পুজো করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ উদ্যোগে এবং সুকলের এক শিক্ষক সমীর কান্তি নাথের সহযোগিতায় আজ বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে৷ বুধবার সন্ধ্যা বেলা ঘটা করে মূর্তি এনে সম্পূর্ণ ছনের উপর প্যান্ডেল সাজিয়ে পুজোর প্রস্তুতি নেয় দুপুর বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা৷


বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি৷ সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ সরস্বতী পুজো প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যায়৷ তখনই সকল ছাত্রছাত্রীরা অঞ্জলি নেওয়ার জন্য পুজো প্যান্ডেলে দেখতে পায় আগুনের লেলিহান শিখায় পুজো প্যান্ডেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে৷ বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর মূর্তিও প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বুধবার সরকারী বন্ধ না হলেও কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু-তিনজন শিক্ষক ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক ছিলেন অনুপস্থিত৷ এই ঘটনার খবর পেয়ে সকল শিক্ষক সুকলে ছুটি আসেন৷ সুকলে এসে পুড়ে যাওয়া স্বরসতী মায়ের মূর্তি ও প্যান্ডেলের ফটো ও ভিডিও নিতে মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন৷ শিক্ষক শিক্ষকদের এহেন কর্মকান্ডে ছাত্রদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও ছাত্রদের প্রচেষ্টায় শেষমেষ আগুন নেভানো হয়৷ তারপর সুকলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উনাদের প্রচেষ্টায় ছাত্র ছাত্রীদের মন রক্ষার্থে উনাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পুনরায় মূর্তি এনে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ চলছে৷


অনেকের দাবি কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ঐক্যতা না থাকার কারণেই এমন একটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হলো৷ অপরদিকে শিক্ষকদের দাবি মোমবাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত৷ কিন্তু অনেকে আবার মনে করছেন,এই অগ্ণিকান্ডের পেছনে সন্দেহের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে৷ কারণ মাত্র ২/৩ মিনিটের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় বিদ্যা দেবী মা সরস্বতী মূর্তি সহ সম্পূর্ণ প্যান্ডেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ সুতরাং অনেকের মনেই সন্দেহ দানা বাঁধাটা স্বাভাবিক৷ তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লাল চোখের কারণে কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা মুখ খুলতে না পারলেও ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *