সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণ অতিরিক্ত হলফনামা দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি৷৷ সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণ মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট অতিরিক্ত হলফনামা দিতে বলেছে৷ শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী শুনানিতে ওই মামলা অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷


পূর্বতন সরকারের আমলে সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে ত্রিপুরা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল৷ এ-বিষয়ে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী তথা বর্তমান অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্য সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিত করেছে৷ কিন্তু পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের নিয়মিত করছিল না৷ এমন-কি, দিল্লি থেকে টাকা এনে তাঁদের প্রাপ্য অনুযায়ী বেতনও দিত না৷ তাঁর অভিযোগ, পূর্বতন সরকার দিল্লি থেকে প্রাপ্য টাকা এনেছে৷ কিন্তু, তাঁদের অনেক কম বেতন দিয়েছে৷ তাই, মামলা করেছিলাম ত্রিপুরা হাইকোর্টে৷


অরুণকান্তি ভৌমিকের দাবি, মামলা হওয়ার পর তদানীন্তন সরকার সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছিল৷ তবুও তাঁদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেয়নি কখনও৷ শুধু তা-ই নয়, তাঁদের নিয়মিত করেনি তদানীন্তন ত্রিপুরা সরকার৷ তাঁর কথায়, আজ সোমবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি হয়েছে৷ এখন সম্ভবত তাঁদের নিয়মিতকরণে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ তাই, বর্তমান সরকার সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিত করতে পারছে না৷


সরকারি আইনজীবী দেবালয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকার সর্বশিক্ষা শিক্ষক মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছিল৷ আজ আদালত অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে বলেছে এবং জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে৷ সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের পক্ষে আইনজীবী সমীক দেব বলেন, ইতিপূর্বে ত্রিপুরা সরকার বলেছিল সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের বিএড, ডিএলএড কোর্স নেই এবং তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়নি, তাই তাঁদের নিয়োগ সম্ভব নয়৷ তাতে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পর্যায়ক্রমে বিএড কিংবা ডিএলএড কোর্স করে ফেলেন৷ কিন্তু, এখন তাঁদের নিয়মিত করছে না ত্রিপুরা সরকার৷


তিনি বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি ত্রিপুরা সরকার আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়োগ শুধু সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হয়েছে৷ তাছাড়া, তাঁদের চাকরি একটি প্রকল্পের অধীনে হয়েছে, তাই তাঁদের নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছে না৷ সমীকবাবুর দাবি, আদালতে সওয়াল করেছি, সরকারের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী৷ আদালত তাতে সম্মত হয়ে ত্রিপুরা সরকারের হলফনামা নাকচ করে দিয়েছে৷ তবে, কোনও নথি থাকলে তা জমা দিতে পারবে ত্রিপুরা সরকার৷ তাঁর কথায়, পরবর্তী শুনানিতে সম্ভবত মামলা অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *