আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি(হি. স.) : ফুলচাষের মাধ্যমে ফুলচাষীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে৷ এক্ষেত্রে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা রাজ্যের ফুলচাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে এবং যারা ফুলচাষে আগ্রহী তাদেরকেও রাজ্য সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে৷ আজ রবীন্দ্রকাননে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা’র উদ্যোগে আয়োজিত ৪দিনব্যাপী পুস্প ও বাহারী পাতার প্রদর্শণী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়৷ তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে বিয়ে, পূজা ইত্যাদি সবকিছুতেই ফুলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ এজন্য প্রতিবছর বহির্রাজ্য থেকে অনেক টাকার ফুল আমদানি করতে হচ্ছে৷
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ফুলের ব্যাপক ব্যবহারের দিকটিকে লক্ষ্য রেখেই রাজ্য সরকার রাজ্যের ফুলচাষীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ কারণ আমাদের রাজ্য ছোট হলেও এখানে ফুলচাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাঁর দাবি, হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে ফুলচাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে৷ সোসাইটি বর্তমানে আগরতলার বাইরে আরও ৪টি জেলায় ফুলচাষের উন্নয়নে কাজ করছে৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সোসাইটি যেন তাদের কাজের বিস্তার ঘটায় সে ব্যাপারে হর্টিকালচারেল দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলেন কৃষিমন্ত্রী৷
কৃষিমন্ত্রী এদিন ভাষণে আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের সৌন্দর্য্যায়ন ও পর্যটন ক্ষেত্রকে আকর্ষণ করে তোলার লক্ষ্যে রাজ্যের দর্শনীয় স্থানগুলিকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে৷ দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে জাতীয় সড়কের দু’পাশে বাহারী ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবার ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷ যদি কেউ ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত হতে চান সরকার তাদের সব সময় সহযোগিতা করবে৷ রাজ্য সরকারও ফুলচাষের মাধ্যমে আর্থিক সংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টি করতে চাইছে৷অনুষ্ঠানে হর্টিকালচার সোসাইটি অব ত্রিপুরা সম্পাদক অপূর্বকান্তি বর্মণ বলেন, প্রতিবছর প্রজাত দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সোসাইটি পুপ প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে৷ এবছর ১৩৮ জন বিভিন্ন প্রজাতির ফুল নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে৷ প্রদর্শনীর সমাপ্তি দিনে বিভিন্ন বিভাগে মোট ১৭১টি পুরস্কার প্রদান করা হবে৷