গুয়াহাটি, ২১ জানুয়ারি (হি.স.) : নরেন্দ্ৰ মোদী দেশের প্ৰথম প্ৰধানমন্ত্ৰী, যিনি ভারতের মজবুত অৰ্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে এসেছেন। অভিযোগ কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা তথা রাজ্যসভায় উপ-দলপতি আনন্দ শৰ্মার।
মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের সদর দফতর রাজীব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা। তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্ৰ এবং রাজ্য সারকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘বিজেপি সরকার যে সব প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল তার কিছুই বাস্তবায়িত করেনি। এর বদলে এখন সে সবের উল্টো কাজ করছে। বিজেপি বলেছিল সব-কা সাথ সব-কা বিকাশের কথা। কিন্তু কোথায় কার বিকাশ করেছে, কারোর করতে পারেনি। এঁরা ভাষণবাগীশ।’
এছাড়া বিজেপি সরকারের আমলে দেশে বেকার সমস্যা হু হু করে বাড়ছে, শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে লক্ষ লক্ষ কর্মজীবী মানুষ চাকরি হারিয়ে এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন আনন্দ শৰ্মা। তিনি বলেন, ৪৫ বছরের পর দেশের অর্থনীতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। জ্যেষ্ঠ কংগ্ৰেস নেতার আরও অভিযোগ, নরেন্দ্ৰ মোদী দেশের প্ৰথম প্ৰধানমন্ত্ৰী যিনি ভারতের মজবুত অৰ্থনীতিকে একেবারে নীচে নামিয়ে এনেছেন।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) সম্পর্কেও কথা বলেছেন আনন্দ। বলেন, ‘অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিএএ-র কোনও প্ৰয়োজনই নেই। অসম চুক্তিকে অমান্য করে ভিত্তিবৰ্ষ ১৯৭১-এর পরিবৰ্তে ২০১৪ করা হয়েছে। কী প্ৰয়োজন ছিল সিএএ-র, তার কোনও উত্তর নাকি বিজেপি দেয়নি। তিনি মনে করেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা ভঙ্গ করেছে। তাঁর দৃষ্টিতে গোটা দেশ সিএএ-র বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছে। ভারতের মানুষ এই আইন প্রত্যাহার চান। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটি ছিল সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী, সংবিধানের মূল কাঠামোয় আঘাত করে একে আইনে পরিণত করেছে বিজেপি সরকার, সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আনন্দ শৰ্মা।