ত্রিপুরায় এক বছরে ১২০০ এইচআইভি এবং ক্যান্সার রোগাক্রান্তদের ভাতা মঞ্জুর করা হয়েছে : সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী

আগরতলা, ২০ জানুয়ারি (হি. স.) : এক বছরে ১২০০ এইচআইভি এবং ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সামাজিক ভাতা চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ভাতাপ্রাপকদের তালিকা তৈরি করে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। আজ বিধানসভায় বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীর উল্লেখপর্বে উত্থাপিত নোটিসের জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী শান্তনা চাকমা।

তিনি বলেন, ত্রিপুরায় সামাজিক ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাতা প্রাপকের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রাজ্য সরকার সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই কর্মসূচীতে আর্থিকভাবে দুর্বল প্রায় চার লক্ষ লোককে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় চার লক্ষ সুবিধাভোগী ভাতা প্রাপক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বৎসর আগে রাজ্যে সামাজিক ভাতা প্রকল্প প্রথম চালু হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ভাতা প্রাপকের সংখ্যা চার লক্ষ পৌঁছায়। তাঁর দাবি, সামাজিক ভাতা দুই হাজার করার জন্য ত্রিপুরা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ-প্রসঙ্গে এদিন তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, পূর্বতন সরকার যখনই ভাতা বৃদ্ধি করেছে তখনই একধাপে মাত্র একশ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। সেই জায়গায় আমাদের সরকার এক কিস্তিতে গড়ে ৩০০ শ টাকা বৃদ্ধি করেছে। এমনকি গৃহ পরিচারিকা ভাতা ৫৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। তার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১২০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হচ্ছে।

এদিন তিনি বিধানসভাকে আশ্বস্ত করেন, যখনই রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে, তখনই সামাজিক ভাতার পরিমান বৃদ্ধি করে দুই হাজার টাকা করা হবে। তিনি বলেন, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর ভাতা প্রাপকদের যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং বেশ কিছু সংখ্যক ভাতা প্রাপক স্ব-ইচ্ছায় ভাতা প্রত্যাহার করেছেন। তাঁর দাবি, সামাজিক সুরক্ষা ভাতার আওতার বাইরে সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অংশকে ভাতার আওতাধীন করতে রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ। সাথে তিনি যোগ করেন, নতুন এইচ.আই.ভি. ও ক্যানসার রােগাক্রান্তদের জন্য ভাতা দেয়ার প্রক্রিয়া জারী রয়েছে। গত এক বছরে প্রায় ১,২০০ এইচ.আই.ভি. ও ক্যানসার রােগাক্রান্ত মানুষকে ভাতা মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়াও একটি বিরাট সংখ্যক ভাতা মঞ্জুরের প্রক্রিয়া জারী করা হয়েছে এবং তা অনুমােদনের জন্য রাজ্যের অর্থ দপ্তরে পাঠানাে হয়েছে। অর্থ দপ্তরের সবুজ সংকেত মিললেই নতুন ভাতা দেওয়ার কাজ শুরু হবে, বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *