নয়াদিল্লি, ১৮ জানুয়ারি (হি.স.) : পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় নিপীড়ন’ থেকে বাঁচতে ভারতে আসা ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দলিত সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর দু:খ-বেদনা বুঝতে পেরে এখন তিনি নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)-র মধ্যে দিয়ে উপকৃত করবেন। শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জে পি নড্ডা এমনটাই জানালেন। শনিবার বিজেপি সদর দফতরে সিএএ বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় সমাজ সেবা সংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তপশিলি শ্রেণির শরণার্থীদের যারা পাকিস্তান থেকে জীবন বাঁচিয়ে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান নড্ডা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান চালু ছিল, তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ভোটব্যাংক রাজনীতির লোকেরা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পারসীদের সম্মানের জীবন যাপন করতে এসেছিল,সেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্যে নিপীড়িত মানুষরাই একমাত্র পাকিস্তানকে ভালভাবে চেনেন,যাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারত-পাকিস্তান বিভাজন আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং দেশটির জন্য দুর্ভাগ্য। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগ করাকে মেনে নিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ থেকে ডঃ মনমোহন সিংয়ের কাছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতিত সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে ছিলেন, তবে কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকের লোভ নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা করে শরণার্থীদের প্রতি অবিচার করছে। তিনি বলেন, সিএএ এর অধীনে একই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে, যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত ভারতে এসেছেন এবং ভারতে বসবাস করছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব হারাবে, এধরনের দেশবিরোধী ভ্রম ছড়িয়ে পড়েছে। সিএএ হ’ল নাগরিকত্ব প্রদানের আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়।