আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি)-এ আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টি করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভায়। ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য অরুণচন্দ্র ভৌমিকের জনস্বার্থে আনা প্রস্তাবটি বিধানসভায় আজ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবারকুমার জমাতিয়া বলেন, সকল অংশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্যই এডিসি-তে আসন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সকল অংশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্য ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকার আসন সংখ্যা ৫০টি করার চিন্তা করছে৷ এর মধ্যে ৪৪টি আসনে নির্বাচন হবে৷ রাজ্যপাল মনোনীত প্রতিনিধি হবেন ৬ জন৷ তাঁর দাবি, বর্তমানে এডিসি-র আসন সংখ্যা ৩০টি৷ এর মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৮ জন৷ রাজ্যপাল মনোনীত সদস্য আছেন ২ জন৷
বিধায়ক অরুণচন্দ্র ভৌমিকের আনা মূল প্রস্তাবটি হল ’ত্রিপুরা বিধানসভা প্রস্তাব করছে যে, জনস্বার্থে এবং জনপ্রতিনিধিদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে টিটিএএডিসি’-র বর্তমান আসন সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক৷ তিনি প্রস্তাবটি উত্থাপন করে আলোচনা করেন৷ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন শাসকদলের বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, বিরোধী দলের বিধায়ক প্রভাত চৌধুরী৷
আলোচনায় অংশ নিয়ে উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, ১৯৮২ সালে এডিসি গঠিত হয় এবং সপ্তম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত হয়৷ ১৯৮৫ সালে এডিসি ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত হয়৷ তাঁর কথায়, এডিসি গঠিত হওয়ার পর গত প্রায় ৩৫ বছরে এডিসি-র আসন সংখ্যা একই রয়ে গেছে৷ বর্তমান সরকারের ২২ মাসে এডিসি এলাকার মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷ এডিসি-কে অধিক ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে এডিসি-র আসন সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করছে বর্তমান সরকার৷ তিনি বলেন, রাজ্যের ৬৭.১৮ শতাংশ এলাকা এডিসিভুক্ত৷ রাজ্যের ২৩টি ব্লক এডিসি এলাকায় রয়েছে৷ তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ৪২টি দফতর পরিচালনার দায়িত্ব এডিসিকে দেওয়া হয়েছে৷ মানুষই বিচার করছেন কোন সরকার এডিসি এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে৷ আলোচনার পর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়৷