আগরতলা, ১২ জানুয়ারি (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফিট ইন্ডিয়ার স্বপ্ন পূরণ যুব সম্প্রদায় সুস্থ থাকলেই সম্ভব। তাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিট ইণ্ডিয়া এবং মেড ইন ইণ্ডিয়া গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন ত্রিপুরা রাজ্যও তাঁর পথ অনুসরন করে চলেছে৷ আমাদের যুব সম্প্রদায় সুুস্থ থাকলেই ফিট ইণ্ডিয়া গড়ে উঠবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ সকালে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে ত্রিপুরা পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ’আগরতলা হাফ ম্যারাথন দৌড়’ অনুষ্ঠানে সুস্থ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এদিন তিনি বলেন, আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন৷ আজকের দিনটি রাষ্ট্রের কাছে, যুবাদের কাছে গর্বের দিন৷ স্বামীজী যুব সম্পদায়কে খেলাধূলায়, মননে-চিন্তনে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণকারী মোট ৬১৪ জন প্রতিযোগি ও প্রতিযোগিনীর প্রশংসা করে বলেন, আজকের দৌড় প্রতিযোগিতায় বড় মাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের দেখে রাজ্যের জনগণের মধ্যে অনুপ্রেরনার জন্ম দেবে৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ত্রিপুরার প্রতিটি ক্লাবের মধ্যে নানা গুণাবলী রয়েছে৷ একে আরো জাগ্রত করতে ত্রিপুরা সরকার দুর্গাপূজার আগে রাজ্যের ১১০০টি ক্লাবের মধ্যে বিভিন্ন খেলাধূলার সামগ্রী বিলি করেছে৷ অথচ আগের সরকার সে পথে হাঁটেনি৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার ড্রাগসমুক্ত ত্রিপুরা গড়তে চাইছে৷ এই কাজে সকলকে একাত্ম হতে হবে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিট ইণ্ডিয়া ও মেড ইন ইণ্ডিয়া গড়ার ডাক দিয়েছেন৷ আমরাও ফিট ত্রিপুরা, মেড ইন ত্রিপুরা গড়তে চাইছি৷ তিনি বলেন, আমরা চাই যুব সম্প্রদায় নিজেকে সুুস্থ রাখতে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হ্যাণ্ডবল, কবাডি প্রভৃতি খেলায় আরও বেশী করে যুক্ত হোক৷ তারা সুুস্থ থাকলেই ত্রিপুরা সুুস্থ থাকবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা বনজ সম্পদে সমৃদ্ধ৷ আমরা প্রধানমন্ত্রী বনধন যোজনাকে ত্রিপুরাতেও ফলপ্রসূ করার উদ্যোগ নিয়েছি৷ তাতে ৩০টি স্ব-সহায়ক দলকে যুক্ত করা হবে৷ তিনি জানান, সম্প্রতি ১১টি স্ব-সহায়ক দলের প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে ৯টি মঞ্জুরি পেয়েছে৷ অবশিষ্ট ১৯টি স্ব-সহায়ক দলের প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, জানান তিনি৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা আরক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ২১.১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন দৌড়ে ৪১৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে ২০০ জন সর্বমোট ৬১৪ জন দৌড়ে অংশ নেন৷ দৌড়ে বি এস এফ, সি আর পি এফ, আসাম রাইফেলস, আর্মি, সি আই এস এফ, ত্রিপুরা পুলিশ, টি এস আর জওয়ান, সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং খেলোয়াড়গণ অংশ নেন৷ ২১.১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে ১ম, ২য় ও ৩য় হয়েছে যথাক্রমে মহ: মেহাবুল আলম, সৌরভ দাস ও সুুজন দেবনাথ৷ ৫ কিলোমিটার দৌঁড়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম হয়েছে বিশ্ব জমাতিয়া৷ মেয়েদের ৫ কিলোমিটার দৌঁড়ে প্রথম হয়েছে সাহারাজ আক্তার৷ ২১.১ কিলোমিটার দৌঁড়ে ১ম, ২য়, ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে দেওয়া হয় ১১ হাজার টাকার চেক ও ১টি পদক, ৯ হাজার টাকার চেক ও ১টি পদক এবং ৭ হাজার টাকার চেক ও ১টি পদক৷ ৫ কিলোমিটারে প্রথম বিশ্ব জমাতিয়া (ছেলে) ও সাহারাজ আক্তারকে (মেয়ে) স্মারক উপহার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ এছাড়া ১০০ জনকে সান্তনা পুরস্কার হিসেবে ১টি করে মেডেল দেওয়া হয়৷
এদিন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কিক বক্সার নিষ্ঠা চক্রবর্তী ও কলকাতা থেকে আগত দৌড়ে অংশগ্রহণকারী অশোক কুমার সিনহাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকগণ ছাড়াও বি এস এফ, সি আর পি এফ, আসাম রাইফেলস, আর্মি, সি আই এস এফ এর আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷