আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : জো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মিলনে উৎসবের সাজে সেজেছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার পার্বত্য অঞ্চল জম্পুই। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গা আগামীকাল ওই উৎসবে অংশ নেবেন। আয়োজকদের দাবি, জো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ওই সম্মেলন আয়োজনের মুখ্য উদ্দেশ্য। কারণ, আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক একীকরণ খুবই জরুরি।
‘জো কুটপুই’ উৎসব এই প্রথম ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক কমিটির কনভেনর রাঞ্চল বলেন, জো সম্প্রদায়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সংস্কৃতির আদান প্রদান খুবই জরুরি। তাই জো কুটপুই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গাকে আমরা ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আজ সন্ধ্যায় ভাংমুন আসবেন। তাঁর সাথে মিজোরামের দুই মন্ত্রী, ডেপুটি সরকারি সচেতক ও বিধায়কগণ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরাও আসবেন। রাঞ্চলের কথায়, জো সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়েই ওই সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবেই পালিত হবে।
রাঞ্চলের দাবি, ভৌগলিক কারণে জো সম্প্রদায়ের মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম এবং ওই রাজ্যের খুব কাছে অবস্থিত মায়ানমার রাষ্ট্র। জো সম্প্রদায়ের প্রতিবেশী রাজ্য এবং তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে বসবাস করছেন। স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাঁর কথায়, সংস্কৃতির একীকরণ খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে যাঁরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তাঁদের এক জায়গায় এনে মতামত ভাগ করে নেওয়াই ওই সম্মেলনের অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য।
তিনি জানান, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যুব সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ভাংমুন গ্রামে ‘জো কুটপুই’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিকেলেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যাবেন বলেন তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য বলেন, জো কুটপুই সম্মেলনকে ঘিরে প্রশাসনের তরফে সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।