নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি (হি.স.) : আজকের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গেল বামেরাই হামলার পিছনে। নিজেরা তাণ্ডব করে আরএসএস, এবিভিপির নাম জড়িয়েছে।দিল্লি পুলিশের সাংবাদিক বৈঠকের পর একথা বলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর |
শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পুলিশের সদর দফতরে জেএনইউ-হামলার তদন্ত নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন যুগ্ম কমিশনার জয় তিরকে ও মুখপাত্র এমএস রান্ধাওয়া। তিরকে জানান, মোট ৯ জন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে যেমন বাম বিরোধী সংগঠনের নেতা বা ছাত্ররা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও। গত রবিবার তথা ৫ জানুয়ারি বিকেলে পেরিয়ার হস্টেলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ঐশীই। এ ব্যাপারে বাকি আটজনের সঙ্গে ঐশীর ছবিও প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশ।
এরপরই প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হোক। অনেক হয়েছে। বাবা-মা ছাত্রছাত্রীদের কেন পাঠায় পড়তে? পড়াশোনা করার জন্যই তো! মারামারি করার জন্য তো পাঠায় না।” তাঁর কথায়, “রবিবারই আমার মনে হয়েছিল এই হামলার পিছনে বামেরাই রয়েছে। ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে যোগেন্দ্র যাদব ওখানে পৌঁছে গেলেন, পাঁচ মিনিটের মধ্যে সীতারাম ইয়েচুরি প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিলেন, এটা কী ভাবে হয়?” আন্দোলনের ধারা নিয়েও বামেদের তীব্র সমালোচনা করেন জাভড়েকর। তাঁর কথায়, “এটা কী ধরনের আন্দোলন? মাঝে তো একদিন শুনলাম, উপাচার্য ছিলেন না, তাঁর স্ত্রীকেই কোয়ার্টারে ঘেরাও করে রেখেছিল বামে ছাত্র সংগঠনগুলি। এটা কি কোনও আন্দোলন হল? এই হিংসা বন্ধ হোক।