নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি (হি.স. ) : এখনই নতুন করে সামরিক সংঘাতে জড়াচ্ছে না ইরান ও আমেরিকা। আপাতত একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করে যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে ইরান ও আমেরিকার তরফ থেকে | একদিকে নিজেদের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি | অন্যদিকে, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রশংসা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |
উপসাগরীয় মধ্যপ্রাচ্যে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরেন| টুইটে তিনি লেখেন, ‘জেনারেল সোলেইমানি আল কায়দা, ইসলামিক স্টেট, আল নুসরা ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের হারিয়ে দিয়েছিলেন। ইরান এই লড়াইটা না লড়লে এতদিনে পূর্ব ইউরোপের শহরগুলো সন্ত্রাসবাদীদের হাতে চলে যেত।
এই অবস্থায় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ওই ভাষণে এক সময় ইরানের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট | ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা জানি, ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা হল ইরানের স্বাভাবিক শত্রু। এরা আমেরিকারও শত্রু। এদের ধ্বংস করতে ইরানও সর্বশক্তি দিয়ে আন্তরিকভাবে লড়েছে। আমরা চাই ইরান একটা সমৃদ্ধ আর্থিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করুক। কিন্তু মধ্যইপ্রাচ্যে শান্তি আনতে গেলে ইরানকে জেহাদ ও সামরিক আগ্রাসন ত্যাগ করতে হবে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্যে কিন্তু যুদ্ধের হুংকার ছিল না। ছিল না বদলার হুমকি। ফলে ইরানের মিসাইল হামলার পরেও এদিন যুদ্ধং দেহি আবহটা অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায়।