সিএএ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা : অমিত শাহ

নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি (হি.স.) : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে দায়ী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

রাজধানী দিল্লিতে বুথস্তরের কার্যকর্তাদের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভকে মদত যুগিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। এদিন দেশের সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করে তাঁর দাবি কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। এমন কোনও ধারা আইনটিতে নেই। নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলার পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য হল পাকিস্তান নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর চোখ খুলে যাওয়া উচিত। তাদের প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এই হামলা।

দিল্লির উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আপ সরকার দিল্লিজুড়ে ১৫ লক্ষ সিসিটিভি বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করে দেখায়নি। চুক্তিভিত্তিক এবং কর্মচারিদের স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও করেনি তারা। দিল্লির উন্নয়নের যে প্রধান বাধা কেজরিওয়াল, তাও মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ। অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৫০০০ স্কুল, ২০টি কলেজ গড়ার। কিন্তু একটাও নবনির্মিত কলেজের হদিশ পাওয়া যায়নি।

এদিন সভায় অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, দেশ সহ গোটা বিশ্ববাসীর ইচ্ছায় অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মিত হতে চলেছে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহের দাবি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এমন কাজ করেছে বিরোধী দলগুলি। অমিত শাহ দাবি করেছেন দিল্লিতে আপকে উৎখাত করে রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি। ১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী দাঙ্গার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাঙ্গায় পীড়িত পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায়নি কংগ্রেস। কিন্তু মোদী সরকার পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। দোষীদের গারদে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৯৮ সাল থেকে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসতে চাইছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *