নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটশরিক আইপিএফটি এনআরসি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত৷ কারণ, একাধিক প্রশ্ণের জবাব দলীয় নেতাদের জানা নেই৷ এনআরসি-র উদ্দেশ্যই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়৷ তবু তারা পৃথক রাজ্য এবং নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতার পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের গণ-অবস্থানে বসবে৷ আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তাঁদের গণ-অবস্থান৷ এডিসি সদর খুমুলুঙের দুকমালিতে দলের সভাপতি তথা রাজস্বমন্ত্রী এনসি দেববর্মা আহূত গণ-অবস্থানের সূচনা করবেন৷ শনিবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেছেন আইপিএফটি-র সহকারী সাধারণ সম্পাদক তথা মুভমেন্ট কমিটির কনভেনর শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া৷
নোয়াতিয়া বলেন, শুরু থেকেই আমরা পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিকবার ওই দাবি জানানো হয়েছে৷ সংবিধান মোতাবেক এতে আপত্তি থাকার কথা নয়৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এ-বিষয়ে এখনও কোনও ইতিবাচক সাড়া মিলেনি৷ সাথে বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আপত্তি প্রকাশ করেছিল আইপিএফটি৷ কিন্তু সংসদে সংখ্যার জোরে বিল পাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাঁর কথায়, আইপিএফটি চাইছে ত্রিপুরায় এনআরসি চালু হোক৷ কারণ ত্রিপুরার প্রকৃত নাগরিক চিহ্ণিত হওয়া খুবই জরুরি৷
তবে এনআরসি নিয়ে আইপিএফটি নেতারাই বিভ্রান্ত তা এই নেতার কথাবর্তায় বেমালুম বোঝা গেছে৷ কারণ, এনআরসি-র ভিত্তিবছর কোনটা ধরতে চাইছেন তাঁরা তা এখনও স্থির হয়নি৷ তাছাড়া, দেশভাগের পূর্বে চাকলা রোশনাবাদ ত্রিপুরার অংশ ছিল৷ দেশভাগ হওয়ার পর ওই অংশটি পূর্ব পাকিস্তান কিংবা বর্তমান বাংলাদেশের ভাগে লিপিবদ্ধ হয়৷ সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা ভারতভুক্তির পর ওপারের চাকলা রোশনাবাদ থেকে যারা এ-পারে এসেছেন তাদেরকে ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বলা যাবে কিনা সেই প্রশ্ণেরও কোনও জবাব দিতে পারলেন না শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া৷ স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট, অজ্ঞানতাবশতই হোক কিংবা সজ্ঞানে, এনআরসি আইপিএফটি-র রাজনৈতিক হাতিয়ার৷