নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জানুয়ারি৷৷ জিএসটি সংগ্রহে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে অসম৷ তবে এর হার বৃদ্ধির নিরিখে এই অঞ্চলে অরুণাচল প্রদেশ বাকি সাত রাজ্যকে ছাপিয়ে গেছে৷ অবশ্য ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮-টি রাজ্যে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধি হয়েছে৷
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জিএসটি সংগ্রহের রাজ্যভিত্তিক হিসাব প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা গেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবকয়টি রাজ্যেই এই কর সংগ্রহের হার বৃদ্ধি হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের সাথে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনা টেনে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০১৮ সালে অসমে ৭৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে৷ সেই তুলনায় ডিসেম্বর ২০১৯ সালে অসমে সংগ্রহ হয়েছে ৯৯১ কোটি টাকা৷ বর্ধিত হার ৩৩ শতাংশ৷ তেমনি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিকিমে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ১৫০ কোটি টাকা৷ যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধি ৪৩ শতাংশ৷
বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নজর কেড়েছে নাগাল্যান্ড৷ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নাগাল্যান্ডে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছিল৷ ২০১৯ ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৩১ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধি ৮৮ শতাংশ৷ তেমনি মণিপুরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ২৭ কোটি টাকা৷ তা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধির হার ৬৪ শতাংশ৷ মিজোরামেও জিএসটি সংগ্রহ ভালো বৃদ্ধি হয়েছে৷ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওই রাজ্যে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ১৩ কোটি টাকা৷ তা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ২১ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশ৷
জিএসটি সংগ্রহ যথেষ্ট ভালো হয়েছে মেঘালয়েও৷ কিন্তু বৃদ্ধির হার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে কম৷ মেঘালয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ১০৮ কোটি টাকা৷ তা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধি ১৪ শতাংশ৷ তেমনি ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ৪৮ কোটি টাকা৷ তা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা৷ বৃদ্ধির হার ২৪ শতাংশ৷
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধির জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ জিএসটি সংগ্রহের হার বৃদ্ধির কৃতিত্ব তিনি সমগ্র ত্রিপুরাবাসীকে দিয়েছেন৷ তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, দেশ গঠনে ত্রিপুরারও অংশীদারিত্ব রয়েছে৷