শিমলা, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : হিমাচল প্রদেশে এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ শুক্রবার রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, সিএএ-তে নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার বিধান থাকলে তা প্রমাণ সহ জনগণের সামনে নিয়ে আসুন।
শুক্রবার হিমাচল প্রদেশে বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক রিজ ময়দানে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সেখানে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বলেন, কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা মিথ্যে রটনা করছেন যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে ৷ কিন্তু আমি রাহুল বাবাকে চ্যালেঞ্জ করছি এই আইনের একটি ধারা তিনি দেখান, যেখানে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসকে ভুল তথ্য প্রচার করতে নিষেধ করেন | এবং দেশের শান্তি বিঘ্নিত না করতেও বলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সিএএ এখন আইন হয়ে গেছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে দুর্নীতির অবসান ঘটাতে সবচেয়ে বড় কাজ করেছে। মোদী আগামী সময়ে দেশে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিজেপি ২০২৪ সালের আগে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হবে বলেও এদিন দাবি করেন অমিত শাহ ।
শাহ বলেন, হিমাচল প্রদেশও এই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। জয় রাম সরকারের জনমঞ্চ কর্মসূচির প্রশংসা করে জানিয়েছে যে, তিনি এর দ্বারা জনগণের সমস্যা সমাধানে সফল হয়েছেন। এর মাধ্যমে ৮৮ শতাংশ সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিমাচল প্রদেশের বাড়িতে গ্যাস দেওয়ার কাজ এখন শেষ হচ্ছে। জয় রাম উজ্জ্বলা প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়েছেন। জেপি নাড্ডা আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করেছিলেন। হিমাচলে জয় রাম সরকার হিম কেয়ার এবং কম্বো স্কিম তৈরি করে প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য গণনা করে অমিত শাহ বলেন, মোদী এক বছরে ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের পুরানো চাহিদা পূরণ করেছিলেন এবং ৩৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা দিয়েছেন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে উরি ও পুলওয়ামা হামলার কড়া জবাব দিয়েছে। এর পরে ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে ।
তিনি বলেন, কাশ্মীর আজ বিশ্বের কাছে একটি বার্তা দিচ্ছে যে এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রাম মন্দিরে সুপ্রিম কোর্টের রায় এসেছে। এখন সেখানে আকাশ ছোঁয়া মন্দির হতে চলেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার হিমাচলের মান্ডিতে এআইএমএস, আইআইটি, আইআইএম, ৬৯ এনএইচ এবং বিমানবন্দর তৈরির কাজ করছে।