
তিরুবনন্তপুরম, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : পশ্চিমবঙ্গের পথে হেঁটে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার (এনপিআর) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল কেরলের বাম সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর হবে না। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে নবান্ন। এবার সেই পথে হাঁটল কেরলও। রাজ্যে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের ক্ষেত্রে কর্মীদের অর্থাৎ ‘মাস্টার ট্রেনিং’-এর কাজ প্রায় শেষ। পরবর্তী পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ করার কথা। নবান্নের নির্দেশে আপাতত সেই কাজ বন্ধ।নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে শনিবারও উত্তাল উত্তরপ্রদেশ।
গত কয়েক দিনের বিক্ষোভের জেরে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনের প্রাণ গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বিহারের অবস্থাও তথৈবচ। নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর ভিডিও বার্তা নিয়ে শনিবার প্রশান্ত কিশোর টুইট করেন, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে রাস্তায় নেমে তেমনভাবে সরব হতে দেখা যায়নি কংগ্রেস নেতৃত্বকে। কংগ্রেস নেতারা মুখে যতই এনআরসির বিরোধিতা করুক। এই সব বিরোধিতার কোনও মানেই হয় না, যদি না কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের রাজ্যে এনআরসি হবে না। নাগরিক সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে চলতি বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে গোটা উত্তরপ্রদেশ। বিশেষ করে সংখ্যা লঘু অধ্যুষিত শহর ও জনপদগুলিতে পরিস্থিত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দিনভর সংঘর্ষ, পাথর ছোঁড়া, খণ্ডযুদ্ধ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর চলে। তাতেও কাজ না হলে পুলিশ গুলি চালায়। তবে রাজ্যগুলি কাজ বন্ধ রাখলেও কেন্দ্রের কাছে নিবন্ধীকরণের যাবতীয় তথ্য মজুত রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এনআরসি চালু করতে চায় বলে সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের মতে, যে কোনও সময় নির্দিষ্ট যুক্তির ভিত্তিতে এনপিআরের কাজ বন্ধ করে দিতে পারে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে বাংলা ও কেরল তাই করেছে।

