নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর৷৷ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে কুমারঘাটের হলিক্রস বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র হ্যাপি দেববর্মার মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস সি দাসকে নিয়োগ করার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভার৷

আজ মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সাংবাদিকদের এই সংবাদ জানান৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হ্যাপি দেববর্মার মৃত্যু হয়৷ তখন কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ উঠে যে তাকে হোস্টেলে অমানসিক নির্যাতন করা হয়৷ ফলে তার মৃত্যু হয়৷ হ্যাপি দেববর্মার মৃত্যু কি কারণে হয়েছে এবং কারা এরসঙ্গে জড়িত তার সঠিক তদন্তের জন্য বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস গত অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নিকট চিঠি লেখেন৷ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে হ্যাপি দেববর্মার মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য কমিশন অব এনকোয়ারি, ১৯৫২ আইনের ৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস সি দাসকে নিয়োগ করার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা৷
এছাড়াও আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘দ্য ত্রিপুরা কনস্ট্রাকশনাল এণ্ড ডিমোলিশন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পলিসি’ গঠন করার অনুমোদন দেওয়া হয়৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, পুরোনো বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলার পর রড, ইট, পাথর ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রীর কি হবে তার জন্য রাজ্যে নির্দিষ্ট কোনও পলিসি ছিলো না৷ এজন্য রাজ্য সরকার দিল্লি কনস্ট্রাকশনাল এণ্ড ডিমোলিশন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ২০১৬ পলিসিকে অনুসরণ করে এবং রাজ্যে ‘দ্য ত্রিপুরা কনস্ট্রাকশনাল এণ্ড ডিমোলিশন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পলিসি’ তৈরি করার জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়৷
এই পলিসি অনুসারে সরকারি দপ্তর এবং ছোট বড় কনস্ট্রাকশনগুলি নতুন বিল্ডিং প্ল্যান তৈরি করার সময় কোনও বর্জ্য সৃষ্টি হবে কিনা তা স্থানীয় নগর সংস্থাগুলিকে জানাতে হবে৷ যদি কাজ শুরু হওয়ার পর দেখা যায় বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে তখন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই স্থানীয় নগর সংস্থা সেগুলি সরিয়ে নেবে৷ এরজন্য স্থানীয় নগর সংস্থাকে একটা ফি দিতে হবে৷ এই ফি স্থির করবে স্থানীয় নগর সংস্থাগুলি৷ যদি কেউ এই পলিসিকে পালন না করে তবে তাকে পেনাল্টি করার সংস্থান রয়েছে এই পলিসিতে৷ এরপরও না পালন করলে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সংস্থানও এই পলিসিতে রয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান৷

