হত্যার দায়ে ধৃত স্ত্রী ও প্রেমিক পুলিশ রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর৷৷ পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে এক মহিলা ও এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছিল৷ আদালতে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ৷ আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছে৷


প্রসঙ্গত, পরকীয়ার এডিনগর থানাধীন ভট্টপুকুর এলাকার বাসিন্দা সুজিত দাস খুন হয়েছেন৷ এমনটাই অভিযোগ করেছেন মৃতের মা জ্যোৎস্না দাস৷ তিনি বলেন, শনিবার গভীর রাতে তাঁর ছেলে খুন হয়েছেন৷ ছেলেকে খুনের জন্য পুত্রবধূ পাপড়ি আচার্য এবং স্থানীয় জনৈক সুমন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিনি থানায় এফআইআরি করেছিলেন৷ এফআইআর-এর ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০বি ধারায় মামলা নিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে৷


মৃতের মা জানিয়েছেন, পাপড়ি আচার্যের সাথে বছর কয়েক আগে তাঁর ছেলের বিয়ে হয়েছিল৷ তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে৷ তিনি বলেন, কিছুদিন তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখে স্বাচ্ছন্দ্যেই ছিল৷ কিন্তু, এরই মধ্যে কালিটিলা এলাকার সুমন রায়চৌধুরীর পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন তাঁর পুত্রবধূ৷ মৃতের মা আরও জানান, দুই সন্তান ফেলেই সুমনের সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁর পুত্রবধূ৷ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয়বার ঘর ছেড়ে সুমনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে কৈলাসহরে বসবাস করতে থাকেন পাপড়ি৷ মৃতের মা বলেন, দ্বিতীয়বারও তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তাঁর স্বামী৷ কিন্তু তার পরও স্বামীগৃহে থাকতে চাননি তাঁর গৃহবধূ৷ ভট্টপুকুর এলাকায় আলাদা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন পাপড়ি, বলেন জ্যোৎস্নাদেবী৷


মৃতের মায়ের আরও অভিযোগ, সুমন একাধিকবার তাঁর ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত শনিবার গভীর রাতে তাকে ছুরিকাহত করে হত্যা করেছে সুমন৷ ওই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ এডিনগর থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করেছে৷ সাথে মৃতের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ৷ আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী৷