নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর৷৷ সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরায় তুলনামূলক ভালো সংগ্রহ হয়েছে সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (সিজিএসটি)৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা সবচেয়ে বেশি সিজিএসটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কমিশনার বিনোদ কুমার গেহলট এই দাবি করে বলেন, ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় সিজিএসটি সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেছে৷ তাঁর ধারণা, গত বছরের তুলনায় এ-বছর ৩০ শতাংশ অধিক আয় হবে৷ এদিকে, সেন্ট্রাল সার্ভিস ট্যাক্স (সিএসটি) জমানায় যাঁদের কর বকেয়া রয়েছে তাঁদের জন্য এককালীন ছাড় দেওয়ার একটি প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ওই প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷

এদিন সিজিএসটি কমিশনার বলেন, ত্রিপুরায় সিজিএসটি-র অধীন ১০ হাজার এবং এসজিএসটি-র অধীনে ১৬ হাজার ব্যবসায়ী নথিভুক্ত রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় ৭,৫০০ ব্যবসায়ী সচল৷ তাঁরা সঠিক সময়ে জিএসটি প্রদান করছেন৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় সিজিএসটি সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, গত বছর সিজিএসটি খাতে ২২০ কোটি টাকা নগদ সংগ্রহ হয়েছে৷ যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১০ কোটি টাকা৷ তাঁর দাবি, গত বছরের তুলনায় এ-বছর ৩০ শতাংশ অধিক সিজিএসটি সংগ্রহ হবে৷
তিনি বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার পর কর সংগ্রহের হার বেড়েছে৷ সেট্রাল সার্ভিসেস ট্যাক্স জমানায় গড়ে বছরে ৭০ কোটি কর সংগ্রহ হত৷ এখন তা বেড়ে ২২০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে৷ তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় সিজিএসটি সংগ্রহ সারা দেশের তুলনায় যথেষ্ট ভালো৷ শুধু তা-ই নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি কর সংগ্রহ হয়েছে৷ এই প্রবণতা বজায় থাকলে ত্রিপুরা সারা দেশে নজির স্থাপন করতে পারবে, আশা প্রকাশ করে বলেন তিনি৷
এদিকে, বকেয়া কর প্রদানে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন যোজনা এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সব-কা বিশ্বাস যোজনায় বকেয়া মিটিয়ে দিলে ব্যবসায়ীদের এককালীন ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিনোদ কুমার গেহলট৷ তাঁর কথায়, ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বকেয়ায় ৭০ শতাংশ এবং ৫০ লক্ষ টাকার অধিক হলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন ব্যবসায়ীরা৷ তিনি জানান, গত জুন থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে এবং সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় সিজিএসটি বকেয়া আদায়ে ১১০ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩ জন ব্যবসায়ী এই যোজনায় আবেদন জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সিজিএসটি বকেয়া রয়েছে৷ তার মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য এবং পেট্রোপণ্য বাদ দিয়ে ৩০-৩৫ কোটি টাকা বকেয়ায় ওই যোজনা প্রযোজ্য হবে৷

