
রায়পুর, ৪ ডিসেন্বর (হি.স.) : জওয়ানদের মধ্যে অন্তর্কলহের জেরে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)-র এক জওয়ান নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে আত্মঘাতী হলেন ওই জওয়ানও। বুধবারের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের নামও। আক্রমণকারী আইটিবিপির কনস্টেবল মাসুদুল রহমান পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যেও রয়েছেন দুই বাঙালি জওয়ানও। হামলাকারী জওয়ান মাসুদুল যেমন নদিয়ার বাসিন্দা, তেমনই তার গুলিতেই নিহত হন বর্ধমানের বাসিন্দা সুরজিৎ সরকার এবং পুরুলিয়ার বিশ্বরূপ মাহাতো। এ ছাড়া, নিহতদের তালিকায় রয়েছেন পঞ্জাবের লুধিয়ানার দলজিৎ সিং, হিমাচলপ্রদেশের মহেন্দ্র সিং এবং কেরলের কোঝিকোড়ের বীজেশ নামে তিন জওয়ানও।
ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কাদেনার এলাকায় আইটিবিপি-র ওই শিবিরে রয়েছেন বি-৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ছত্তিসগড় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সূত্রের খবর, ছুটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইটিবিপি জওয়ানরা| এরপর নিজেদের মধ্যেই শুরু হয় গুলির লড়াই| নারায়ণপুর-এর পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ জানিয়েছেন, আইটিবিপি জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন জওয়ানের| জখম হয়েছেন আরও দু’জন জওয়ান| বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছে, ‘একজন আইটিবিপি জওয়ান তাঁর সার্ভিস রাইফেল থেকে অপর জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান| পরে ওই জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়|’ কী কারণে আইটিবিপি জওয়ানদের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে| ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ছত্তিসগড়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাম্রধ্বজ সাহু বলেন, ‘‘জওয়ানদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে তা বিস্তারিত জানা যাবে।’’ ছুটি না পেয়ে মানসিক অবসাদে গুলি চালানোর প্রবণতা আধাসেনা জওয়ানদের মধ্যে এর আগেও একাধিক বার দেখা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটেছিল কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে তাম্রধ্বজ জানান, ‘‘সরকার জওয়ানদের সব রকম সুবিধাই দিয়ে থাকে।’’

