নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ নভেম্বর৷৷ পূর্ত ঘোটালা নিয়ে প্রাক্তন বিভাগীয় মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে না৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে৷ আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সন্তোষজনক প্রমাণ দিতে পারেননি৷ বরং তিনি আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়েছেন৷ বাদল চৌধুরীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য মঙ্গলবার এ-কথা জানিয়েছেন৷ এ-বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক বলেন, আদালতে আমাদের সওয়াল-জবাব শুরু হয়েছে৷ সময়ের অভাবে আজ সম্পূর্ণ হয়নি৷ তাই, উচ্চ আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ২ ডিসেম্বর ধার্য করেছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/IMG20191021135652-1024x768.jpg)
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ২০০৮ সালে পূর্ত দফতরে কেলেংকারি হয়েছে অভিযোগে ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রাক্তন বিভাগীয় মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, প্রাক্তন পূর্তকর্তা সুনীল ভৌমিক এবং পূর্ত দফতরের প্রাক্তন প্রধানসচিব তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব ওয়াই পি সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ ওই মামলায় প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং প্রাক্তন পূর্তকর্তা সুনীল ভৌমিককে ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করেছে৷ তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন৷ কিন্তু, প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে না এই যুক্তিতে পুলিশের এজাহারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেছেন বাদল চৌধুরীর আইনজীবী৷ ওই আবেদনের ভিত্তিতে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি একে কুরেশি এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতে সমস্ত নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ আজ ওই আবেদানরে ওপর শুনানি হয়েছে৷
আজ শুনানি শেষ হওয়ার পর বাদল চৌধুরীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, আমাদের বরাবরই বক্তব্য বদলবাবুর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা হতে পারে না৷ কারণ, ওই সময় কোনও কেলেংকারিই হয়নি৷ তাই এজাহারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলাম৷ তিনি বলেন, আজ আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কোনও সন্তোষজনক প্রমাণ দিতে পারেননি৷ তাই তিনি আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন৷ তিনি জানান, আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে৷ ওই দিন সমস্ত প্রমাণ আদালতে দেখাতে হবে তাঁদের৷
এ-বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক বলেন, আদালতে এখন আমাদের সওয়াল-জবাবের প্রক্রিয়া চলছে৷ সময়ের অভাবে আজ সম্পূর্ণ হয়নি৷ তাই পরবর্তী শুনানির দিন ২ ডিসেম্বর ধার্য হয়েছে৷ তিনি বলেন, বাদল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে না সংক্রান্ত জামিন আবেদনের সময়ও ওই যুক্তি তুলে ধরেছিলেন বদলবাবুর আইনজীবীরা৷ কিন্তু আদালতে ওই যুক্তি টিঁকেনি৷ তাই, বাদল চৌধুরী জামিন পাননি৷