নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ নভেম্বর৷৷ কৃষিক্ষেত্রে ত্রিপুরার সম্ভাবনা অপরিসীম৷ এর কারণ, কেন্দ্রে মোদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কৃষি ও কৃষকদের ভীষণ উন্নতি হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত প্রকল্পে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন৷ তবুও রাজ্যগুলিতে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য কৃষিমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাই ত্রিপুরায় কৃষি ও কৃষককল্যাণে চলমান প্রকল্পের বিভিন্ন কাজকর্মের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এসেছেন তিনি৷ বক্তা কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা৷ তিনি জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে ত্রিপুরায় কাজকর্ম যথেষ্ট সন্তোষজনক৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/Minister-of-state-Purushuttam-Rupala-reviews-the-agricultural-schemes-of-the-state-at-state-guest-house-on-November-23-1-1024x683.jpg)
শনিবার অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরুষোত্তম রুপালা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে গোটা দেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি দারুণ উপকৃত হয়েছে৷ তাই রাজ্যগুলির চলমান কাজের মূল্যায়নে এসেছি৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে কাজ করছে৷ ফলে ত্রিপুরাকে দেশের মূলস্রোতে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
তাঁর কথায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ত্রিপুরা এবং রাজ্যের কৃষকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন৷ ওই সমস্যাগুলি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছি৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আগামীদিনে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে রূপরেখা স্থির করার জন্য আজ আলোচনা হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ত্রিপুরায় কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ প্রয়োজনীয় সহায়তা ত্রিপুরাকে কৃষিক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী স্থানে পৌঁছে দেবে৷ তাই, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানে রাজ্যের মতামত জেনেছি৷ এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ মূলত, সারা দেশের জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের কদর রয়েছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় কৃষিকাজের সার খুব কম ব্যবহৃত হচ্ছে৷ আগামীদিনে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদেও ত্রিপুরায় অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বাস্তবায়নে সমস্যার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ঋণগ্রহীতা কৃষকদের ফসল বিমা যোজনা সুযোগ লাভে অসুবিধা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলির সাথে কথা বলা জরুরি হয়ে পড়েছে৷ তাঁর কথায়, রাজ্যের সমস্ত কৃষকের তথ্য সংগ্রহ করেছি৷ ফসল বিমা যোজনায় স্থিতি জেনেছি৷ তিনি বলেন, দিল্লি ফিরে গিয়ে বিমা সংস্থাগুলিকে ডাকা হবে৷ ওই সমস্যাগুলি সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে, ফসল বিমা যোজনা কৃষকদের দারুণ উপকারি এ-বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেছেন আজ৷