মহারাষ্ট্রে নাটকীয় মোড়! মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার

মুম্বই, ২৩ নভেম্বর (হি.স.): দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন, আলোচনা-বৈঠক সমস্ত কিছুই বৃথা হল। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটকীয় মোড়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শনিবার শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনসিপি-র অজিত পওয়ার। শরদ পওয়ারের এনসিপি-র হাত ধরেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ল বিজেপি। শনিবার সকালে রাজভবনে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনসিপি-র অজিত পওয়ার। দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি-র অজিত পওয়ারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশয়ারি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষেই জনাদেশ ছিল, কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট করার চেষ্টা করেছিল শিবসেনা, তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। মহারাষ্ট্রে স্থিতিশীল সরকারের প্রয়োজন, খিচুড়ি সরকার নয়।’ দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ আরও বলেছেন, ‘এনসিপি-র অজিত পওয়ারকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। মহারাষ্ট্রে স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিজেপির সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন। আরও কয়েকজন এনসিপি নেতাও আমাদের সঙ্গে এসেছেন, তাই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছি আমরা।’ মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এনসিপি-র অজিত পওয়ার বলেছেন, ‘ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও দল সরকার গঠন করতে পারেনি। কৃষক সমস্যা-সহ বহু সমস্যার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তাই স্থিতিশীল সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি-র অজিত পওয়ার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর উভয়কেই অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, দেবেন্দ্র ফড়ণবিশজি এবং অজিত পওয়ারজিকে অভিনন্দন। আমার আত্মবিশ্বাস তাঁরা সযত্নে মহারাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবেন। অমিত শাহ অভিনন্দন-বার্তা, দেবেন্দ্র ফড়ণবিশজি এবং অজিত পওয়ারজিকে অভিনন্দন।’